টি-২০ বিশ্বকাপে ১৬ স্বপ্নসারথির সাতকাহন

টি-২০ বিশ্বকাপে ১৬ স্বপ্নসারথির সাতকাহন

খেলা স্পেশাল

অক্টোবর ১৬, ২০২২ ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ

টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ফর্মে না থাকায় যাকে বলা হচ্ছিল দলের বোঝা, সেই ডেভিড ওয়ার্নারই গত বছর অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম টি ২০ বিশ্বকাপ জিতিয়ে হয়েছিলেন টুর্নামেন্টসেরা।

ওয়ার্নারদের আঙিনায় এবারের টি ২০ বিশ্বকাপে ব্যাটে-বলে আলো ছড়িয়ে যারা নায়ক হতে পারেন, ১৬ দলের এমন ১৬ জন স্বপ্নসারথিকে নিয়ে এই আয়োজন।

সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ)

বাংলাদেশ তো বটেই, ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। টি ২০ সংস্করণে বাংলাদেশ এখনো পায়ের নিচে মাটি খুঁজে না পেলেও অধিনায়ক সাকিব ঠিকই নিজেকে নিয়ে গেছেন ইতিহাসের চূড়ায়। আন্তর্জাতিক টি ২০তে ১০৩ ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ১২২ উইকেট এই বাঁ-হাতি স্পিনারের। এই সংস্করণে সবচেয়ে বেশি বল করার রেকর্ডও তার। অলরাউন্ডারদের র‌্যাংকিংয়ের দুই নম্বরে থাকা সাকিব ব্যাট হাতেও দলের বড় ভরসা। ১০৩ ম্যাচে ২৩.৪১ গড়ে করেছেন ২১৩১ রান। বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় টি ২০ সিরিজে বাংলাদেশ জয়ের দেখা না পেলেও শেষ দুই ম্যাচে দারুণ দুটি ফিফটি উপহার দিয়েছেন সাকিব।

মোহাম্মদ রিজওয়ান (পাকিস্তান)

২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেক হলেও মোহাম্মদ রিজওয়ানের উত্থান মূলত গত দুই বছরে। টি ২০ সংস্করণে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সাফল্যের মূল কারিগর এই কিপার-ব্যাটার। অধিনায়ক বাবর আজমের সঙ্গে তার যুগলবন্দি এখন বিশ্বের সেরা ওপেনিং জুটি। গত বছর টি ২০-তে এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি রানের বিশ্বরেকর্ড গড়েন রিজওয়ান। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছর বাবরকে সিংহাসনচ্যুত করে টি ২০ ব্যাটারদের র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে উঠে এসেছেন তিনি। শুরুতে একটু মন্থর ব্যাটিং করলেও থিতু হওয়ার পর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে তা পুষিয়ে দেন রিজওয়ান। আন্তর্জাতিক টি ২০-তে তার ব্যাটিং গড় ৫২.৩৭।

সূর্যকুমার যাদব (ভারত)

দলে বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার মতো মহাতারকা থাকলেও এবারের টি ২০ বিশ্বকাপে ভারতের তুরুপের তাস হতে পারেন সূর্যকুমার যাদব। ৩২ বছর বয়সি এই হার্ডহিটার ব্যাটারকে বলা হয় এবি ডি ভিলিয়ার্সের ভারতীয় সংস্করণ। মাত্র দেড় বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে টি ২০ ব্যাটারদের র‌্যাংকিংয়ে দুই নম্বরে উঠে এসেছেন সূর্যকুমার। আন্তর্জাতিক টি ২০-তে মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই ইংল্যান্ডের জফরা আর্চারকে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তিনি। সেই ঝড় এখনো চলছে। এই সংস্করণে ৩৪ ম্যাচে এক সেঞ্চুরি ও নয় ফিফটিতে ৩৮.৭০ গড়ে ১০৪৫ রান করেছেন সূর্যকুমার। স্ট্রাইক রেট ১৭৬.৮১! ৩২ ইনিংসে হাঁকিয়েছেন ৬৩ ছক্কা।

ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (শ্রীলংকা)

২০১৯ সালে টি ২০ অভিষেকের পর থেকে এই সংস্করণে শ্রীলংকার সেরা পারফরমার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। জাদুকরি লেগ-স্পিনের পাশাপাশি ঝড়ো ব্যাটিংয়েও ব্যবধান গড়ে দিতে পারেন ২৫ বছর বয়সি এই অলরাউন্ডার। এবারের এশিয়া কাপে শ্রীলংকার শিরোপা জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখে টুর্নামেন্টসেরা হয়েছেন হাসারাঙ্গা। টি ২০ বিশ্বকাপেও দলের বাজির ঘোড়া তিনি। ৪৪ টি ২০-তে মাত্র ১৪.৭৪ গড়ে ৭১ উইকেট নেওয়া হাসারাঙ্গা এই সংস্করণে বোলারদের র‌্যাংকিংয়ে তিনে আছেন। আর অলাউন্ডারদের র‌্যাংকিংয়ে তার অবস্থান চারে।

জস বাটলার (ইংল্যান্ড)

সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার জস বাটলার। ইংল্যান্ড এখন যে আগ্রাসী ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলে, তার যাত্রা শুরু হয়েছিল ৩২ বছর বয়সি এই কিপার-ব্যাটারের হাত ধরেই। ইয়ন মরগানের অবসরের পর তার হাতে দলের নেতৃত্ব তুলে দিতে তাই দুবার ভাবতে হয়নি ইংল্যান্ডকে। সবশেষে টি ২০ বিশ্বকাপে বাটলারের ব্যাট থেকেই এসেছিল আসরের একমাত্র সেঞ্চুরি। আন্তর্জাতিক টি ২০তে ৯৬ ম্যাচে (১৩ অক্টোবর পর্যন্ত) প্রায় ১৪৪ স্টাইক রেটে তার রান ২৩১২। সবমিলিয়ে স্বীকৃত টি ২০তে সাতটি সেঞ্চুরি আছে বাটলারের। তাকে ঘিরেই এবার শিরোপার স্বপ্ন দেখছে ইংল্যান্ড।

টিম ডেভিড (অস্ট্রেলিয়া)

সরাসরি টি ২০ বিশ্বকাপ দলে ডাক পাওয়ার পর গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে অভিষেক হয়েছে টিম ডেভিডের। এতেই বোঝা যায়, ২৬ বছর বয়সি এই মিডল অর্ডার ব্যাটার কতটা প্রতিভাবান। সিঙ্গাপুরের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রতিভার ঝলক অবশ্য আগেই দেখিয়েছেন ডেভিড। বাবার কর্মস্থল সিঙ্গাপুরে জন্ম হলেও তার বেড়ে ওঠা ও ক্রিকেটে হাতেখড়ি অস্ট্রেলিয়ায়। মারকাটারি ব্যাটিংয়ের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ডেভিডকে নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে যাওয়ার পর টনক নড়ে অস্ট্রেলিয়ার। সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের বিশ্বাস, ঘরের মাঠে এবারের আসরে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের তুরুপের তাস হবেন ডেভিড। টি ২০তে তার স্ট্রাইক রেট ১৬০।

ট্রেন্ট বোল্ট (নিউজিল্যান্ড)

কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোয় এবারের টি ২০ বিশ্বকাপের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হয়তো আর দেখা যাবে না ট্রেন্ট বোল্টকে। তবে নিজের সম্ভাব্য বিদায়ী টুর্নামেন্টেও নিউজিল্যান্ডের বড় ভরসা এই বাঁ-হাতি পেসার। যে কোনো ফরম্যাটেই নতুন বলে দারুণ কার্যকর বোল্ট। ব্রেকথ্রুর জন্য তার দিকে তাকিয়ে থাকে দল। গতির পাশাপাশি বিষাক্ত সুইংয়ে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের নাভিশ্বাস তুলে দেন বোল্ট। অস্ট্রেলিয়ার পেস সহায়ক কন্ডিশনে আরও ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেন তিনি। গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে সবশেষ টি ২০ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডকে ফাইনালে তুলতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন বোল্ট। পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট নিয়েছিলেন।

রশিদ খান (আফগানিস্তান)

মাত্র ১৭ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক অভিষেকের পর থেকেই আফগানিস্তান ক্রিকেটের পোস্টারবয় রশিদ খান। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সময়ের অন্যতম সেরা বোলার এই লেগ-স্পিনার। আন্তর্জাতিক টি ২০তে ৭১ ম্যাচে নিয়েছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১৮ উইকেট। রশিদের ইকোনমি (৬.২৪) ও স্টাইক রেটও (১৩.৬) ঈর্ষণীয়। এই সংস্করণে বোলাদের র‌্যাংকিংয়ে তার অবস্থান দুইয়ে। গত টি ২০ বিশ্বকাপে পাঁচ ম্যাচে আট উইকেট নিয়েছিলেন রশিদ। নিয়মিত বিগ ব্যাশে খেলায় অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনেও প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের নাভিশ্বাস তুলতে পারেন আফগান স্পিন জাদুকর।

কাগিসো রাবাদা (দক্ষিণ আফ্রিকা)

২০১৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতিয়ে পাদপ্রদীপের আলোয় আসেন কাগিসো রাবাদা। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২৫ রানে ছয় উইকেট নিয়েছিলেন এই গতিময় পেসার। পরের বছর বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকে হ্যাটট্রিকসহ ছয় উইকেট। এমন স্বপ্নময় শুরুর পর বারবার চোটে পড়লেও হারিয়ে যাননি রাবাদা। এখন তিন সংস্করণেই দলের পেস আক্রমণের সেনাপতি তিনি। অস্ট্রেলিয়ার পেস সহায়ক কন্ডিশনে রাবাদা হতে পারেন দক্ষিণ আফ্রিকার বাজির ঘোড়া। আন্তর্জাতিক টি ২০তে ৪৯ ম্যাচে তার উইকেট ৫৪টি। আইপিএলে ৬৩ ম্যাচে ৯৯ উইকেট।

নিকোলাস পুরান (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, কাইরন পোলার্ড ও সুনীল নারাইনের মতো মহাতারকাদের অনুপস্থিতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের তরুণ দলটির প্রাণভোমরা এখন নিকোলাস পুরান। ব্যাটিং, কিপিং, নেতৃত্ব-দায়িত্বের শেষ নেই তার। এবারের টি ২০ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় পুরান। ২০১৬ সালে অভিষেক হলেও দলে থিতু হতে অনেক সময় লেগেছে তার। এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক টি ২০-তে ৬৭ ম্যাচে ২৭.৪১ গড় ও ১৩০.৭৭ স্ট্রাইকরেটে ১৩৯৮ রান করেছেন পুরান। ব্যাট হাতে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।

সিকান্দার রাজা (জিম্বাবুয়ে)

২০১৬ সালের পর এবারই প্রথম বিশ্বকাপে খেলবে জিম্বাবুয়ে। বাছাইপর্বে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলটির তুরুপের তাস সিকান্দার রাজা। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই অলরাউন্ডার এ বছর স্বপ্নের ফর্মে আছেন। ব্যাট হাতে দারুণ কয়েকটি ইনিংস খেলে বাছাইপর্বে হয়েছেন টুর্নামেন্টসেরা। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে টি ২০-তে তার স্ট্রাইকরেট ১০৬.৯৩ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫২.২১। রাজার অফ-স্পিনও গড়ে দিতে পারে ব্যবধান। টি ২০ বিশ্বকাপের আগে ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ও ভারতের বিপক্ষে এক মাসে তিনটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে আইসিসির আগস্ট মাসের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন ৩৬ বছর বয়সি রাজা।

পল স্টার্লিং (আয়ারল্যান্ড)

১৫ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের গোধূলিলগ্নে এসেও আয়ারল্যান্ডের স্বপ্নসারথি পল স্টার্লিং। আন্তর্জাতিক টি ২০-তে তিন হাজারের বেশি রান করা ছয় ব্যাটারের অন্যতম তিনি। এই সংস্করণে পঞ্চম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক স্টার্লিং। আয়ারল্যান্ডের আর কোনো ব্যাটারের নেই দুই হাজার রানও। গতিময় উইকেটে দ্রুত রান তুলতে পারেন এই অভিজ্ঞ ওপেনার। টি ২০-তে স্টার্লিংয়ের স্ট্রাইকরেট ১৩৪.৮৪। গড় ২৮.৬৭। ব্যাটারদের র‌্যাংকিংয়ে তার অবস্থান ২৭ নম্বরে।

বাস ডি লিড (নেদারল্যান্ডস)

নেদারল্যান্ডসের নতুন প্রজন্মের সেরা ক্রিকেটার বাস ডি লিড। ২০১৮ সালে টি ২০ সংস্করণে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় ২২ বছর বয়সি এই ব্যাটিং অলাউন্ডারের। প্রথম ১৩ ইনিংসে ২০.৭২ গড়ে ও ১০১.৭৮ স্ট্রাইকরেটে করেছিলেন ২২৮ রান। পরের সাত ইনিংসে সেই ডি লিডই ১২৩ স্ট্রাইকরেট ও ৭২.৭৫ গড়ে করেছেন ২৮৯ রান। এর মধ্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি ফিফটি রয়েছে। বিশ্বকাপে বাছাইপর্বেও নেদারল্যান্ডসকে ফাইনালে তুলতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল তার। দারুণ ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি কার্যকর পেস বোলিংয়ে মাত্র নয় গড়ে নয় নয় উইকেট নেন ডি লিড।

কার্তিক মায়াপ্পন (আরব আমিরাত)

এবারের টি ২০ বিশ্বকাপে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাজির ঘোড়া হতে পারেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত লেগ-স্পিনার কার্তিক মায়াপ্পন। এক বছরের টি ২০ ক্যারিয়ারে আরব আমিরাতের হয়ে ১১ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়েছেন ২২ বছর বয়সি কার্তিক। বছরের শুরুতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম ধাপে তিন ম্যাচে মাত্র সাত ওভার বোলিং করেই নেন পাঁচ উইকেট। গত মাসে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি ২০ সিরিজেও নজরকাড়া বোলিংয়ে তিন উইকেট নেন কার্তিক। ভারতের চেন্নাইয়ে জন্ম নেওয়া এই লেগ-স্পিনারের ব্যতিক্রমী বোলিং অ্যাকশন প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের বিভ্রান্তিতে ফেলে দেয়।

রিচি বেরিংটন (স্কটল্যান্ড)

গত টি ২০ বিশ্বকাপের পর এই সংস্করণে মাত্র দুটি ম্যাচ খেলা স্কটল্যান্ডের বড় ভরসা এবার অধিনায়ক রিচি বেরিংটন। ৩৫ বছর বয়সেও দলের অন্যতম সেরা ব্যাটার তিনি। বল হাতেও বেশ কার্যকর। গত আসরে দুটি ফিফটিসহ ১৭৭ রান করেছিলেন বেরিংটন। সাবেক অধিনায়ক কাইল কোয়েটজারের অবসরের পর সামনে থেকেই স্কটল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি ২০তে ৭৬ ম্যাচে ৩১.২৩ গড়ে ১৭১৮ রান করেছেন বেরিংটন। এই সংস্করণে সেঞ্চুরিও আছে তার। বোলিংয়ে প্রাপ্তি ২৮ উইকেট।

ডিভান লা কক (নামিবিয়া)

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তেমন পরিচিত নাম না হলেও নামিবিয়ার নতুন প্রজন্মের সেরা প্রতিভা ডিভান লা কক। ১৯ বছর বয়সি এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার দুই বছর আগে একটি ঘরোয়া টি ২০ টুর্নামেন্টের ফাইনালে ৫৯ বলে ১২৩* রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে সবার নজর কাড়েন। সেদিন তার প্রতিপক্ষ দলে ছিলেন নামিবিয়া অধিনায়ক গেরহার্ড এরাসমাস। এরপর অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে রানের বন্যা বইয়ে গত মে মাসে জাতীয় দলে ডাক পান লা কক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি ২০ অভিষেকে খেলেন ৪৩ বলে ৬৬ রানের টর্নেডো ইনিংস। এবারের বিশ্বকাপে লা কক হতে পারেন নামিবিয়ার এক্স ফ্যাক্টর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *