জাতীয় দলের পাইপলাইন নিয়ে হতাশ দুর্জয়

জাতীয় দলের পাইপলাইন নিয়ে হতাশ দুর্জয়

খেলা

মে ২৫, ২০২৩ ১:২০ অপরাহ্ণ

হাইপারফরম্যান্স ক্যাম্প পরিচালনার জন্য মঙ্গলবার বাংলাদেশে এসেছেন প্রধান কোচ ডেভিড হেম্প। এদিন এইচপি ক্যাম্পের জন্য ২৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

বুধবার ক্যাম্পের প্রথম দিন নতুন কোচ হেম্পকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন হাইপারফরম্যান্স চেয়ারম্যান নাইমুর রহমান দুর্জয়। তিনি বাংলাদেশ দলের পাইপলাইন নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন।

সাংবাদিকদের দুর্জয় বলেন, সবকিছু নির্ভর করছে খেলোয়াড়দের ওপর। আমার বা আমার কমিটির কাজ হলো সাপোর্টগুলো দেওয়া। তাদের যে জিনিসগুলো প্রয়োজন সেগুলো সরবরাহ করা। তবে মূলত যেসব খেলোয়াড় এইচপি থেকে জাতীয় দলে উঠে আসছে, বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়। আমরা ৭-৮ জন খেলোয়াড় দেখি যারা এইচপির মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে। আসলে পুরো ব্যাপারটি খেলোয়াড়দের।

সাবেক এই অধিনায়ক আরও বলেন, যারা সুযোগ কাজে লাগিয়ে উন্নতি করতে পারে, ভালোভাবে প্রস্তুত করতে পারে নিজেকে; যত ভালোভাবে নিজেকে প্রস্তুত করবে ততই বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ভালো। তারাই জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করে। এটা আমাদের কিছু না, পুরোটাই খেলোয়াড়দের।

দুর্জয় বলেন, এখনো মনে করি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সবকিছু পারিনি। কারণ আমাদের অবকাঠামোতে কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। যেমন গ্রাউন্ডস, ইনডোর, জিম। বৃষ্টির মৌসুমে আমাদের অনেক সংগ্রাম করতে হয়। একইভাবে এইচপির প্রোগ্রামটাও আমাদের বৃষ্টির মৌসুমে করতে হয়। খেলোয়াড়েরা ব্যস্ত থাকে জাতীয় লিগ, আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট, বিপিএল, ডিপিএল অনেক কিছু খেলতে হয়। ওই সময় কিন্তু আমরা প্রোগ্রামগুলো করতে পারি না। বিশেষ করে স্কিল ট্রেনিং করা যায় না। বৃষ্টির মৌসুমে করতে হয়। এ কারণে আমাদের আরও কিছু অবকাঠামো উন্নতি করতে হবে। বিশেষ করে ইনডোর, জিম।

এইচপি চেয়ারম্যান আরও বলেছেন, ‘অবশ্যই দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা থেকে এটা আসা। একজন কোচের অধীনে যত বেশি দিন থাকবে ওদের (ক্রিকেটারদের) বোঝাপড়াটা ভালো হয়। ওই খেলোয়াড় সম্পর্কে কোচের ধারণাটা ভালো হয়। কোচের সঙ্গেও বোঝাপড়াটা ভালো হয়। যে কারণে দুই বছরের জন্য ডেভিড হেম্পের সঙ্গে চুক্তি করেছি।

ক্রিকেটারদের মানসিক দুর্বলতা কাটিয়ে তোলার জন্য ক্যাম্পে রাখা হয়েছে ক্রীড়া মনোবিদ ডেভিড স্কটকে।

এ ব্যাপারে দুর্জয় বলেন, আমরা সবাই জানি, এইচপি হলো জাতীয় দলের জন্য প্রস্তুত করার জায়গা। তো জাতীয় দলে গিয়ে আমরা যে সমস্যাগুলো মোকাবিলা করি, সেটা খেলোয়াড়দের মানসিক হতে পারে, কৌশলগত হতে পারে। সেই জিনিসগুলো যেন জাতীয় দলে গিয়ে আমাদের মোকাবিলা করতে না হয়। খেলোয়াড়দের যে সুযোগ-সুবিধাগুলো পাওয়া উচিত, সেগুলো দেওয়ার জন্যই এসবের সঙ্গে পরিচিত করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *