জানুয়ারি ১৮, ২০২৩ ৯:১৯ পূর্বাহ্ণ
প্রতিদিন সব কাজে তাড়াতাড়ি! অফিসে দেরি হয়ে যাচ্ছে-এই দোহাই দিয়ে আপনি হয়তো তাড়াতাড়ি খেয়ে উঠছেন। কিন্তু এর পরিণতি জানেন? অফিস যাত্রীরাই শুধু নয়, স্কুল পড়ুয়ারাও কোনোরকমে চটপট খেয়ে ছুট। এই অভ্যাসে সময় বাঁচলেও শরীরের ক্ষতি হয়।
তাড়াতাড়িতে খাবারটা প্রায় না চিবিয়ে গিলে খান অধিকাংশই। ফলে খাবার হজম ঠিক মতো হয় না। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের বিজ্ঞান সমাবেশে স্পষ্ট জানানো হয় ৫ বছর ধরে একটি গবেষণা এটা প্রমাণ করেছে যে, খাবার যদি না চিবিয়ে তাড়াতাড়ি খাওয়া হয় তাহলে মেটাবলিক সিনড্রোম এবং স্থূলতার মতো দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এই গবেষণায় দেখা গেছে, এই মেটাবলিক সিনড্রোমের প্রবণতা যারা তাড়াতাড়ি খায় তাদের ক্ষেত্রে ১১ দশমিক ৬ শতাংশ। আর যারা স্বাভাবিকভাবে চিবিয়ে খান, তাদের ক্ষেত্রে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, থুতুতে থাকে একটি এনজাইম। যাকে বলা হয় সালিভারি অ্যামায়লেস। এই উপাদান খাবারে স্টার্চ এবং মালটোডেক্সট্রিন্স নামক একটি কার্বোহাইড্রেট হজম করতে সাহায্য করে। যদি খাবার এই থুতুর সঙ্গে মেশার সময় না পায় তবে হজমের সমস্যা হবেই। খাবার না চিবিয়ে তাড়াহুড়ো করে খেলে, শরীরে অপ্রয়োজনীয় বায়ু প্রবেশ করে। এর ফলে গ্যাস-অম্বল-ঠেঁকর ওঠার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। পেট ফেঁপে ওঠা ও বুক জ্বালার আর একটা কারণ হচ্ছে যে, সহজরূপে খাদ্য শরীরে প্রবেশ করার কথা তার বদলে না চিবিয়ে সেটা জটিলরূপে শরীরে প্রবেশ করে তাই। তখন অন্ত্রে যে হরমোনগুলো আছে সেগুলো ভাগাস স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে বার্তা পাঠায় যে পেট ভরে গেছে, কিন্তু সেই বার্তা পৌঁছাতে ১৫-২০ মিনিট সময় লাগে। তাড়াতাড়িতে এই বার্তায় মস্তিষ্কে পৌঁছাতে পারে না। ফলে অল্প সময়ে অনেকটা খাওয়া হয়ে যায়। এছাড়া খাবার শ্বাসনালীতে আটকে হঠাৎ শ্বাসরোধ হয়ে মারাত্মক বিপদ ঘটতে পারে।
সুতরাং যতই তাড়া থাকুন খান ধীরে সুস্থে।