গার্মেন্টস কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যা বললেন বিজিএমইএ সভাপতি

গার্মেন্টস কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যা বললেন বিজিএমইএ সভাপতি

জাতীয় স্লাইড

মার্চ ৩, ২০২৩ ১০:০২ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের তৈরি পোষাক উৎপাদন ও রপ্তানীকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, কারখানার উৎপাদন সরাসরি নির্ভর করে কর্মীদের মানুষিক ও শারীরিক সুস্থ্যতার উপর। তাদের স্বাস্থ্যের মানোন্নয়ন ও শিল্প-কারখানায় এগুলোর নিয়মিত অনুশীলনই পারে ভবিষ্যতে কোভিড-১৯ এর মতো অদৃশ্য মহামারী প্রতিরোধ করতে।

বিশ্বের সেরা ও সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গ্রীণ ফেক্টরি বর্তমানে বাংলাদেশে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এই চিত্রই বলে দেয় বিজিএমইএর নেতৃত্বে দেশের গার্মেন্টস খাতে কত ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। এখন আমরা গার্মেন্টস কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে আরও শক্তিশালীকরণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছি যাতে উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পায়, দেশের অর্থনীতির ভীত আরও শক্ত হয়।

বৃহস্পতিবার বিকালে আয়াত এডুকেশন, দেশের তৈরি পোষাক রপ্তানীকারকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন বাংলাদেশ পোষাক উৎপাদন ও রপ্তানীকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ও ইন্টেগ্রাল গ্লোবালের (আইজি) যৌথ উদ্যোগে রাজধানীর গুলশানের ক্রাউন প্লাজায় ‘শ্রমিকদের সুস্থ্যতাকে শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইন্টেগ্রাল গ্লোবালে জনস্বাস্থ্য বিশষজ্ঞ জেনা বুটল্ফ। গোলটেবিল বৈঠক সঞ্চালনা করেন আয়াত এডুকেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নুসরাত আমান। এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অনন্ত এ্যাপারেল্স এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ জহির, জায়ান্ট গ্রুপের পরিচালক শারমিন হাসান, আমান স্পিনিং মিলের ভাইস চেয়ারম্যান তাহসিন আমান, জায়ান্ট গ্রুপের প্রকল্প সমন্বয়ক আশাফ হাসান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, দেশে বর্তমানে ২,২০০ কারখানায় মোট ৪০ লাখ কর্মী (যাদের মধ্যে ৬৫ ভাগ  নারী) কাজ করছে। সুতরাং গার্মেন্টস কারখানাগুলোর কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে তাদের কর্মীদের উৎপাদনশীলতার উন্নতিসাধন, শিল্প-কারখানার টেকসই উন্নতি নিশ্চিতকরণ এবং মহামারী ও অপ্রত্যাশিত স্বাস্থ্য বিপর্যয় মোকাবিলায় কর্মীদের স্বাস্থ্য ও সুস্থতাকে শক্তিশালীকরণ ও এ ব্যাপারে তাদের মধ্যে সচেতনা বৃদ্ধি করা খুবই জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ।

আলোচনায় অনন্ত এ্যাপারেল্স এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ জহির বলেন, আমাদের কারখানায় সার্বক্ষণিক চিকিৎসক ও নার্স রাখার পাশাপাশি কারখানায় কর্মরত কর্মীদের শরীরে পুষ্টি ও ক্যালোরি সঠিক পরিমাণে আছে কিনা সেদিকেও আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। তাছাড়া তাদের অনুপস্থিতির হার কমানো ও উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর ওপর আমরা জোড় দিচ্ছি।

জায়ান্ট গ্রুপের প্রকল্প সমন্বয়ক আশাফ হাসান বলেন, ছোট ও মাঝারী শিল্প-কারখানাগুলোকেও এই উদ্যোগে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কারণ সেখানে কর্মীদের সুস্থ্যতা ও উৎপাদনশীলতা রক্ষণাবেক্ষণে মানসম্মত জনবলের ঘাটতি রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *