কোরবানির পশু কেমন হওয়া উচিত?

ধর্ম

জুন ২৬, ২০২২ ১০:৪৩ পূর্বাহ্ণ

আসছে ঈদুল আজহা বা কোরবানি ঈদ। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য প্রিয়বস্তু ও প্রিয়প্রাণ উৎসর্গের মহোৎসব ‘কোরবানি’।

হাদিসে বর্ণিত আছে, ‘মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পশু জবাই করাকে কোরবানি বলে (শামি ৫ম খণ্ড)।’

একজন প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম নর-নারীর ওপর তখনই কোরবানি ওয়াজিব হয় যখন তার কাছে ৫২ তোলা রুপার সমমূল্য পরিমাণ অতিরিক্ত যেকোনো ধরনের সম্পদ থাকে (বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬, রাদ্দুল মুহ্তার ৬/১৩২)।

শুধু কোরবানি দিলেই চলবে না, কোরবানির পশু নির্বাচনের ক্ষেত্রে ধর্মীয় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জনের জন্য কোরবানির পশুটিকে হতে হবে প্রিয় ও পছন্দনীয়। হেদায়া ৪র্থ খণ্ডে আছে ছয়টি বিশেষ পশু দ্বারা কোরবানি আদায় করতে হবে এবং এগুলোর মধ্যে ছাগল, ভেড়া, দুম্বা এক বছর, গরু, মহিষ দু’বছর এবং উট পাঁচ বছরের কম হলে কোরবানি শুদ্ধ হবে না। পশুগুলোও হতে হবে যথাসম্ভব ত্রুটিমুক্ত।

কোরবানির পশু নিয়ে প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এর নির্দেশনা হলো- কোরবানির পশু হতে হবে দোষমুক্ত। কোরবানির পশুতে চারটি দোষ সহনীয় নয়— স্পষ্টত অন্ধ, মারাত্মক অসুস্থ, দুর্বল-হাড্ডিসার এবং চার পায়ে চলতে পারে না এমন অক্ষম বা খোঁড়া’ (তিরমিযি)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *