এমবাপ্পেকে নিয়ে যে বিস্ফোরক তথ্য জানালেন তারই বাবা

এমবাপ্পেকে নিয়ে যে বিস্ফোরক তথ্য জানালেন তারই বাবা

খেলা

ডিসেম্বর ২৫, ২০২২ ১০:২৩ পূর্বাহ্ণ

নিজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ক্যামেরুন ফুটবল ফেডারেশনের সেই অনৈতিক আচরণকে অবশ্য এখনো ভুলতে পারেননি এমবাপ্পে। আর এ ঘটনায় অভিমান প্রকাশ করে বিস্ফোরক তথ্য জানিয়েছেন তার বাবা উইলফ্রেড।

তিনি জানান, ফ্রান্স নয়, বরং সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ক্যামেরুন জাতীয় দলের হয়েই খেলতেন পিএসজির এ তারকা। কিন্তু ঘুষ দাবি করায় ছেলেকে ক্যামেরুন জাতীয় দলে খেলাতে পারেননি অর্থাভাবে থাকা এমবাপ্পের বাবা।

বর্তমানে ফ্রান্স জাতীয় দলের হয়ে বিশ্ব ফুটবলে রাজত্ব করছেন পিএসজির তারকা ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পে। ২০১৮ সালে ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে হয়েছেন আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা।

এমবাপ্পে বলেন, ক্যামেরুন এখন আমাকে ডাকছে। আমি না চাইতেই আমাকে নাগরিকত্ব দিচ্ছে। তবে আমার ক্যামেরুনের নাগরিকত্ব দরকার নেই। কেননা আমি ফ্রান্সের নাগরিক এবং আমি ফ্রেঞ্চ হয়েই থাকতে চাই।

এমবাপ্পের জন্ম ফ্রান্সের প্যরিসে, ১৯৯৮ সালে। তার বাবার জন্মভূমি ক্যামেরুন ও মায়ের জন্মভূমি আলজেরিয়া। ভাগ্য বদলের আশায় এমবাপ্পের বাবা-মা নিজেদের জন্মভূমি ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন ইউরোপে। আর তাই নিজ মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা থেকেই ২০১৮ সালে ক্যারিয়ারের শুরু দিকে এমবাপ্পের বাবা উইলফ্রেড ছেলেকে ক্যামেরুন জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করাতে চেয়েছিলেন।

একই সাক্ষাৎকারে উইলফ্রেড বলেন, ফ্রান্সের জাতীয় দলে এমবাপ্পেকে জায়গা পেতে কোনো ঘুষ দিতে হয়নি। ক্যামেরুন ফুটবল ফেডারেশন এমবাপ্পের মতো একজন খেলোয়াড়কে তাদের দলে নিতে ব্যর্থ হয়েছে। কেননা ক্যামেরুন ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তারা অলস ও লোভী।

আফ্রিকান দেশগুলোতে সরকারি প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানই চরম দুর্নীতিগ্রস্থ। আর দুর্নীতির এই চর্চা থেকে বের হতে পারেনি ক্যামেরুনের ফুটবল ফেডারেশনও। সাক্ষাৎকারে এমবাপ্পের বাবা বলেন, দেশের হয়ে মাঠে প্রতিনিধিত্ব করা সম্মানের ব্যাপার। আর তাই দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে ঘুষ হিসেবে কোনো অর্থ দেওয়াকে নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্য নয় বলে মনে করেন তিনি।

বাবার এ মন্তব্যর সাথে একমত প্রকাশ করেন এমবাপ্পে। তিনি বলেন, আমি ক্যামেরুনে জন্মাইনি। আমি একজন ফ্রেঞ্চ। আমার ক্যারিয়ারের শুরুতে আমি যখন কেউ ছিলাম না তখন আমার বাবা ক্যামেরুনের প্রাথমিক দলে আমার সুযোগ চেয়েছিল। কিন্তু তারা দলে সুযোগ লাভের শর্ত হিসেবে বড় অঙ্কের টাকা দাবি করেন। এই ঘটনায় আমার বাবা মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে ফ্রান্সে চলে আসেন। পরবর্তীতে ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশন আমাকে যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ করে দেয়।

বর্তমানে ক্যামেরুন জাতীয় দল নিয়ে এমবাপ্পের আফসোস নেই, বরং ফ্রান্সের হয়ে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়ে একের পর এক রেকর্ড গড়ছেন। কিন্তু এমবাপ্পেকে না পাওয়ার আফসোস হয়তো ক্যামেরুনের জনগণ সারাজীবন বয়ে বেড়াবে- এ কথা নিঃসন্দেহে বলাই যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *