প্রথম ম্যাচে ম্যাক্সওয়েল ঝড়ে জেতা ম্যাচ হেরে যায় স্বাগতিক লঙ্কানরা। তবে এবার আর পারলেন না ম্যাক্সওয়েল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঝারি পুঁজি নিয়েও দারুণ বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে জয় পায় শ্রীলঙ্কা। এই জয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল স্বাগতিকরা।
পাল্লেকেলেতে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। বৃষ্টির কারণে ৪৭.৪ ওভার ব্যাটিং করে ৯ উইকেটে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ দাঁড়ায় ২২০ রান। লঙ্কান দুই ওপেনার শুরুটা ধীরগতিতে করে। তবে বেশিক্ষণ ওপেনিং জুটি টিকিয়ে রাখতে পারেনি তারা। কুহনিম্যানের বলে উইকেটরক্ষক ক্যারির কাছে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন
নিসাঙ্কা।
এরপর দলীয় ৩৫ রানে আরেক ওপেনারকে হারায় শ্রীলঙ্কা। প্যাট কামিন্সের বলে কুহনিম্যানের কাছে ক্যাচ তুলে দেন গুনাথিলাকা। তবে এরপর দলের হাল ধরেন মেন্ডিস ও ডি সিল্ভা। তাদের করা ৬১ রানের জুটিটা দলের ২০০ পার করাতে বিরাট ভূমিকা রাখে। কারণ এরপর ৩৪ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে স্বাগতিকরা।
এরপর নিয়মিত বোলিংয়ে লঙ্কানদের বেশি রান করতে দেয়নি অজি বোলাররা। বৃষ্টি বাগড়ায় পরার আগে লঙ্কানদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৭.৪ ওভারে ৯ উইকেটে ২২০ রান। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন কুশল মেন্ডিস (৩৬)। আর অজিদের হয়ে ৪ উইকেট নেন কামিন্স।
বৃষ্টি শেষ হলে লঙ্কানরা আর ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ পায়নি। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ৪৩ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার টার্গেট দাঁড়ায় ২১৬ রানের। শুরুটা ভালোই করেছিল অজিরা। তবে লঙ্কানদের নিয়ন্ত্রণ বোলিংয়ে ১৮৯ রানেই থেমে যায় তাদের ইনিংস। আগের ম্যাচের নায়ক ম্যাক্সওয়েল এই ম্যাচেও ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। তবে এবার আর তিনি একা পারেননি সেই কাজ করতে।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ৩৭ আর ম্যাক্সওয়েল ৩০ বাদে কেউই ত্রিশের কোটা পার করতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়ার শেষ ৫ উইকেট পরে যায় মাত্র ১৯ রানে। যেখানে বড় অবদান রাখেন করুণারত্নে। লঙ্কানদের হয়ে তিনি নিয়েছেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট।
এ ছাড়া অন্য বোলাররাও ছিল খুবই কিপটে। চামিরা ৬.১ ওভারে ১৯ রানে নিয়েছেন দুই উইকেট। ধনঞ্জয়া ডি সিলভাও ৬ ওভারে ২৬ রান দিয়ে পেয়েছেন দুটি উইকেট। আর ওয়েললাগে ৫ ওভার বলিগ করে ২৫ রানে নিয়েছেন দুই উইকেট। ব্যাটিংয়ে দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ১৭ বলে ১৮ রান এবং বোলিংয়ে ৪৭ রান খরচায় ৩ উইকেট নেয়ায় ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে চমিকা করুনারত্নের হাতে।