উচ্চ আদালত বন্ধের নির্দেশ দিলেও পুরোদমে চলছে ইটভাটার কাজ

দেশজুড়ে

মার্চ ৫, ২০২৩ ৬:২৮ অপরাহ্ণ

মোঃ আব্দুল হান্নান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসির নগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিপুরে অবৈধভাবে গড়ে উঠা দুটি ইটভাটা উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চালিয়ে যাচ্ছে উৎপাদন।
হরিপুর রাজবাড়ী থেকে কয়েকশত গজ দক্ষিণে রয়েল ও সততা ব্রিকস নামে লোকালয়ে অবৈধভাবে গড়ে উঠে দুটি ইটভাটা। স্থানীয়রা ইট ভাটা দুটি এখান থেকে সরিয়ে অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি জানান।
ইট ভাটা দুটি অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য স্থানীয় হরিপুর গ্রামের ইয়াকুব মিয়ার ছেলে মোঃ আউয়াল মিয়া ৩০ জানুয়ারি ২০২২ সালে উচ্চ আদালতে একটি পিটিশন ও দায়ের করেন,যার পটিশন নম্বর ১৪৬৫৯। পিটিশনে তিনি উল্লেখ করেন ভাটা দুটির কালো ধোয়ার দূষণে স্থানীয় এলাকার পরিবেশ দুষিত হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রী ও এলাকার মানুষ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এর প্রতিকার চেয়ে তিনি ভাটা দুটির পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র বাতিল করে অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি করেন। এই বিষয়ে আউয়াল মিয়া জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর বরাবর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও আবেদন করেন।
আওয়ালের আবেদনের প্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর একটি রুল জারি করেন। যা ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ উচ্চ আদালতে যথাযথ জবাব দিতে না পারায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ উচ্চ আদালত ভাটা দুটিকে বন্ধের নির্দেশ দেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ভাটার মালিকরা প্রশাসনকে মেনেজ করে উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

সরেজমিন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, রয়েল ব্রিকস ও সততা ব্রিকস দুটিতেই পুরোদমে চলছে উৎপাদন । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক জানায় এখানে মাঝে মধ্যে প্রশাসনের লোকজনও আসে। তাদের ম্যানেজ করেই চলছে উৎপাদন।
রয়েল ও সততা ব্রিকস দুটিতে গিয়ে মালিক পক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। সাংবাদিকের কথা শোনে কারখানার ব্যাবস্থাপক ও সটকে পড়ে।
পরে রয়েল ব্রিকস এর মালিক মোঃ ইয়াসিন মিয়ার সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ঢাকায় আছি পরে এসে কথা বলবো।

এগুলো ছাড়াও চাপড়তলা ইউনিয়নের উড়িয়াইনে রহিমা,গোয়াল নগর ইউনিয়নের লালুয়ারটুকে সালমা আর শাহেনা নামক ইটভাটা গুলোতে পুড়ানো হচ্ছে কাট আর জুট।তাদের নেই কোন প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রও।কোন কোন ইটভাটার অবস্থান আবার রয়েছে বিদ্যালয় সংলগ্ন।

নাসির নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিবুল্লা সরকার বলেন, ইট ভাটা অনুমোদন বা বন্ধের দায়িত্ব আমাদের নয়। এইটা পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব।, আমরা শুধু সহযোগিতা করতে পারি। আর এই রায়ের কোন কপি আমাদের হাতে এখনো আসেনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফখরুল ইসলাম বলেন, গত দুইতিন দিন আগে আমার হাতে রায়ের কপি এসেছে। আমরা এই গুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *