ই-পাসপোর্টে ভুল তথ্য সংশোধন করবেন যেভাবে

ই-পাসপোর্টে ভুল তথ্য সংশোধন করবেন যেভাবে

লাইফস্টাইল

জানুয়ারি ১৭, ২০২৩ ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ

দেশে ও দেশের বাইরে প্রতিটি নাগরিক ও অভিবাসীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথির নাম পাসপোর্ট। বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম পুরোদমে চালু হওয়ার কারণে নতুন পাসপোর্টের আবেদনকারী এবং এমআরপি (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট) নবায়নকারী সবাকেই ই-পাসপোর্ট সরবরাহ করা হচ্ছে।

তবে অনেকসময় ইলেক্ট্রনিক চিপযুক্ত নতুন এই ই-পাসপোর্টে তথ্যের নানা ভুল-ভ্রান্তি থেকে যেতে পারে। তাই,যারা ই-পাসপোর্ট হাতে পেয়ে গেছেন তাদের পাশাপাশি নতুন আবেদনকারীদেরও ই-পাসপোর্টে ভুল তথ্য সংশোধন পদ্ধতি জেনে রাখা আবশ্যক।

পাসপোর্ট সংশোধনের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ই-পাসপোর্ট সংশোধন
২০২১-এ দুইবার ও ২০২২-এ একবার প্রজ্ঞাপনের পর সর্বশেষ গত ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে পাসপোর্ট সংশোধনের নতুন প্রজ্ঞাপন দিয়েছে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর। ফলশ্রুতিতে, পূর্বের পরিপত্রগুলো বাতিল হয়ে এখন এই প্রজ্ঞাপনটিই কার্যকর আছে এবং সেই অনুসারেই সকলকে ই-পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধন করতে হবে।

এখানে পাসপোর্টের ওপর জাতীয় পরিচয়পত্রকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের মধ্যে তথ্যের কোনো গরমিল থাকলে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যানুসারে পাসপোর্ট নতুন করে প্রস্তুত করতে হবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক তথা অনূর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সীদের বেলায় জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এখানে প্রয়োজন সাপেক্ষে জেএসসি/জেডিসি/এসএসসি/দাখিল/উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়/কারিগরি ও সমমানের যেকোনো একটি সনদপত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।

এই নথিপত্র ছাড়াও তথ্য সংশোধনের জন্য দরকার হবে লিখিত আবেদন ও অঙ্গিকারনামার, যেগুলোর ফর্ম পাওয়া যাবে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। এছাড়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসেও পাওয়া যাবে এই ফর্মগুলো। তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদনকারীকে এগুলো স্বহস্তে পূরণ ও সই করে পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে।

ই-পাসপোর্টে ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
জাতীয় পরিচয়পত্র (প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ)
জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি জমাদানকারীদের ক্ষেত্রে পিতামাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপিও জমা দিতে হবে।
জেএসসি, জেডিসি, এসএসসি, দাখিল, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, কারিগরি ও সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদগুলো থেকে যেকোনো একটি সনদপত্র
অভিবাসীদের ক্ষেত্রে পিআর(পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট)/জব আইডি/স্টুডেন্ট আইডি কার্ড/ড্রাইভিং লাইসেন্স
পুরোনো ই-পাসপোর্টের মূল কপি এবং যে পৃষ্ঠাগুলোতে পাসপোর্টধারীর ব্যক্তিগত ও ইমিগ্রেশনের তথ্য দেওয়া আছে সেগুলোর ফটোকপি
ই-পাসপোর্ট নবায়নের জন্য অনলাইন আবেদনের রঙিন মুদ্রিত কপি
অ্যাপয়েন্টমেন্ট সহ ই-পাসপোর্ট নবায়নের জন্য আবেদনের সারাংশের মুদ্রিত কপি
অফলাইনে ই-পাসপোর্ট নবায়নের ফি পরিশোধ করলে ব্যাংক থেকে প্রদানকৃত ফি জমা রশিদ
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট অথবা পাসপোর্ট অফিসে প্রদর্শিত নমুনা ফর্মে লিখিত আবেদন ও অঙ্গীকারনামা
সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে সরকারি অনাপত্তি/অধ্যাদেশ সনদপত্র
বৈবাহিক অবস্থা সংযোজন, পরিবর্তন বা সংশোধনের ক্ষেত্রে কাবিননামা
স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন বা সংশোধনের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বা গ্যাস বিলের কপি
যাদের কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ নেই, তাদের নাম, বয়স, পিতামাতার নাম আংশিক বা সম্পূর্ণ পরিবর্তন করতে হলে আদালতের হলফনামার প্রয়োজন হবে।

পাসপোর্ট সংশোধনের ক্ষেত্রে প্রয়োজন সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা বিভাগ থেকে প্রদত্ত তথ্য যাচাই হতে পারে।

ধাপে ধাপে ই-পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধন পদ্ধতি
ই-পাসপোর্টে নতুন কোনো তথ্য সংযোজন, পুরনো তথ্যের নির্দিষ্ট কোন অংশ বিয়োজন, তথ্যের পরিবর্তন বা ভুল তথ্যের সংশোধন সবগুলোরই প্রক্রিয়া একই।

ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদনের সার্বিক প্রক্রিয়াকে দুইভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে।

ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন ও অঙ্গীকারনামা পূরণ।
ই-পাসপোর্ট নবায়নের জন্য অনলাইন আবেদন।

ই-পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন ফরম পূরণ
এই প্রথম ধাপে সরাসরি চলে যেতে হবে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের ওয়েবসাইটে। সেখানে ফরম ও ফি মেনু থেকে রি-ইস্যু/তথ্য পরিবর্তন/সংশোধনের আবেদন ফরম-এ ক্লিক করার পর প্রাপ্ত ওয়েব পেজ থেকে পাওয়া যাবে ভুল তথ্য সংশোধনের আবেদন ফরম।

শুধুমাত্র বাংলায় আবেদনকারীর নাম ব্যতীত এই সম্পূর্ণ ফর্মটি পূরণ করতে হবে ইংরেজি ক্যাপিটাল অক্ষরে। নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করে যেকোনো আবেদনকারীই কোনো ঝামেলা ছাড়াই তথ্য সরবরাহ করতে পারবেন। প্রথমেই দুই কলামের বাম পাশের প্রথম অংশে যে পাসপোর্ট অফিস থেকে আবেদনকারী ভুলকৃত পাসপোর্টটি সংগ্রহ করেছিলেন তার নাম দিতে হবে। তারপর পর পর বাংলা ও ইংরেজিতে আবেদনকারীর নাম দিতে হবে।

এরপরের সেকশনটিতে ভুলকৃত পাসপোর্টের তথ্য উল্লেখ করতে হবে। এখানকার পাসপোর্ট নম্বর, ইস্যুর স্থান ও তারিখ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ সবকিছুই পাওয়া যাবে পাসপোর্টে ইলেক্ট্রনিক চিপযুক্ত পৃষ্ঠাটিতে। পাসপোর্টে আবেদনকারীর ছবির বরাবর উপর-নিচ করে ধরে ওপরের পৃষ্ঠায় ডানদিকে উল্লম্বভাবে পাওয়া যাবে পাসপোর্ট নাম্বারটি। আর ছবির পৃষ্ঠায় পাওয়া যাবে পাসপোর্ট ইস্যুর স্থান ও অন্যান্য তারিখগুলো।

এবার ডানদিকের উপরের বক্স থেকে টিক চিহ্ন দেওয়ার মাধ্যমে পাসপোর্ট বিতরণের প্রকৃতি নির্ধারণ করতে হবে। অতঃপর সেই প্রকৃতি অনুসারে পরের বক্সে উল্লেখ করতে হবে ফি-এর পরিমাণ, যে ব্যাংকের যে শাখায় প্রদত্ত ফি জমা দেয়া হয়েছে সেগুলোর নাম, রশিদ নম্বর এবং জমাদানের তারিখ।

এরপর চূড়ান্তভাবে সংশোধীত তথ্য সরবরাহের পালা। বামের খালি অংশগুলোতে লিখতে হবে বর্তমানে ই-পাসপোর্টের ভুলকৃত তথ্যগুলো আর ডানের অংশগুলোতে উল্লেখ করতে হবে কী কী সংশোধন চাওয়া হচ্ছে সেগুলো। এখানে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, ডানের অংশগুলোর তথ্য অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুরূপ হতে হবে। আর অনূর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদপত্রকে অনুসরণ করতে হবে।

অতঃপর যে দিনে ফর্মটি পূরণ করা হচ্ছে সে দিনের তারিখ দিয়ে নিচে আবেদনকারীকে সই করতে হবে। অপ্রাপ্তবয়স্কদের বেলায় এ অংশে স্বাক্ষর করবেন তাদের বাবা অথবা মা কিংবা অন্য অভিভাবক।

সবশেষে যে তথ্যগুলোর সংশোধন চাওয়া হচ্ছে সেগুলোর সাপেক্ষে প্রাসঙ্গিক কাগজপত্রগুলোর নাম একে একে উল্লেখ করতে হবে।

ই-পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য অঙ্গীকারনামা পূরণ
এই ফরমের জন্যও একইভাবে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ফরম ও ফি মেনুতে যেতে হবে। সেখান থেকে পাসপোর্টের তথ্য সংশোধনী অঙ্গীকারনামা ফরম-এ ক্লিক করার পর যে পেজ আসবে, সেখানেই পাওয়া যাবে পাসপোর্টের তথ্য সংশোধনী অঙ্গীকারনামা ফর্ম।

এখানে অঙ্গীকারনামার একটি সাধারণ নমুনা তৈরি করাই আছে। শুধু খালি অংশগুলোতে নিজের ব্যক্তিগত ও বর্তমান পাসপোর্টের তথ্যগুলো দিয়ে পূরণ করে দিতে হবে। যে তথ্যগুলো সংশোধন করতে হবে সেগুলোর ওপরে টিক চিহ্ন দিয়ে দিলেই হবে। দুই কলামের টেবিলটিতে বামের অংশগুলোতে বর্তমান পাসপোর্টের ভুলকৃত তথ্যগুলো এবং ডানের অংশগুলোতে সেই ভুলকৃত তথ্যগুলোর বিপরীতে জাতীয় পরিচয়পত্রে উল্লেখিত তথ্যগুলো লিখে দিতে হবে। অপ্রাপ্তবয়স্করা বা তাদের অভিভাবকগণ এ ক্ষেত্রে তাদের জন্ম নিবন্ধন সনদের অনুরূপ তথ্য সরবরাহ করবেন।

সবশেষে আবেদনকারী বা তার অভিভাবকের(১৮ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে) সইয়ের মাধ্যমে শেষ হবে অঙ্গীকারনামা ফর্ম পূরণ।

অনলাইনে ই-পাসপোর্ট সংশোধন পদ্ধতি
ই-পাসপোর্ট নবায়ন বা সংশোধন উভয়ের যে কোনটি করার জন্য অনলাইনে ই-পাসপোর্ট রিনিউয়ের জন্য আবেদন করতে হবে। দুই ক্ষেত্রেই একইভাবে অনলাইন ফর্মটি পূরণ করতে হবে। পার্থক্য হচ্ছে শুধু আইডি ডকুমেন্টস সেকশনে Yes, I have an Electronic Passport (ePP) অপশন সিলেক্ট করে দিতে হবে। অতঃপর সে অনুসারে পুরাতন ই-পাসপোর্টের তথ্য দিতে হবে। আবেদনের বাকি সব সেকশনে খেয়াল রাখতে হবে যে, প্রতিটি তথ্য যেন অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুরূপ হয়।

যেহেতু ইতোমধ্যে একবার ই-পাসপোর্ট নেওয়া হয়েছে, সেহেতু ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগের ওয়েবসাইটে আবেদনকারীর অবশ্যই নিজস্ব একটি অ্যাকাউন্ট আছে। সেখানে সেই আগের ইমেইল ঠিকানা ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে ডিরেক্টলি টু অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনে ক্লিক করতে হবে।

তারপর সেই নতুন ই-পাসপোর্ট করার মত একে একে পাসপোর্ট টাইপ থেকে শুরু করে অ্যাড্রেস পর্যন্ত সব সেকশনগুলো পূরণ করে আসতে হবে। আইডি ডকুমেন্টসে বর্তমান ই-পাসপোর্টের সব তথ্য দেয়ার পর প্যারেন্টাল ইনফরমেশন থেকে ডেলিভারি অপশন্স এ্যান্ড অ্যাপয়েন্টমেন্ট পর্যন্ত নতুন ই-পাসপোর্ট আবেদনের মতো করে পূরণ করতে হবে।

অতঃপর সম্পূর্ণ আবেদনপত্র পূরণ শেষে সাবমিট করার পর ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে হবে।

ই-পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধন ফি জমা দেওয়ার উপায়
নতুন ই-পাসপোর্টের আবেদনের জন্য যে ফি দিতে হয়েছিল, নবায়ন বা ভুল তথ্য সংশোধনের জন্যও সেই একই ফি। এর বাইরে নাম অথবা বয়স সংশোধনের ক্ষেত্রে কোট হলফনামা বাবদ দুই থেকে তিন হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে। তথ্য সংশোধনের ফি অনলাইনে অথবা অফলাইনে অর্থাৎ সশরীরে ব্যাংকে গিয়ে পরিশোধ করা যায়। চূড়ান্তভাবে আবেদন সাবমিট করার পরই অফলাইন পেমেন্ট অপশনে ক্লিক করলে ব্যাংক এশিয়া, ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, এবং সোনালী ব্যাংকের নাম দেখাবে। আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র এবং প্রিন্ট করা ই-পাসপোর্টে তথ্য সংশোধনের আবেদনপত্রটি নিয়ে এই ব্যাংকগুলোর যেকোনো শাখায় গিয়ে ফি জমা দেওয়া যাবে। অবশ্যই জমা রশিদটি নিয়ে আসতে হবে।

এছাড়া অনলাইনে ফি পরিশোধের জন্য আছে বিকাশ, ভিসা কার্ড, মাস্টারকার্ড, কিউ-ক্যাশ, ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং, এবং সোনালী ব্যাংক পেমেন্ট গেটওয়ের মতো ডিজিটাল ব্যবস্থা।

ই-পাসপোর্ট ভুল তথ্য সংশোধন ফি-এর তালিকা
৪৮ পাতার ৫ বছরের মেয়াদী পাসপোর্ট ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে পেতে হলে খরচ পড়বে চার হাজার ২৫ টাকা, ৭ কার্যদিবসের মধ্যে পেতে হলে লাগবে ছয় হাজার ৩২৫ টাকা, এবং ২ কার্যদিবসের মধ্যে পেতে লাগবে আট হজার ৬২৫ টাকা।

৪৮ পাতার ১০ বছরের মেয়াদী পাসপোর্ট ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে পেতে হলে খরচ পড়বে পাঁচ হাজার ৭৫০ টাকা, সাত কার্যদিবসের মধ্যে পেতে হলে লাগবে আট হাজার ৫০ টাকা, এবং দুই কার্যদিবসের মধ্যে পেতে লাগবে ১০ হাজার ৩৫০ টাকা।

৬৪ পাতার পাঁচ বছরের মেয়াদী পাসপোর্ট ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে পেতে হলে খরচ হবে ছয় হাজার ৩২৫ টাকা, সাত কার্যদিবসের মধ্যে পেতে আট হাজার ৩২৫ টাকা, এবং দুই কার্যদিবসের মধ্যে পেতে ১২ হাজার ৭৫ টাকা।

৬৪ পাতার ১০ বছরের মেয়াদী পাসপোর্ট ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে পেতে হলে খরচ লাগবে আট হাজার ৫০ টাকা, সাত কার্যদিবসের মধ্যে পেতে লাগবে ১০ হাজার ৩৫০ টাকা, এবং দুই কার্যদিবসের মধ্যে ১৩ হাজার ৮০০ টাকা।

ই-পাসপোর্টে ভুল সংশোধনের আবেদন কীভাবে ও কোথায় জমা দিবেন
ই-পাসপোর্টে ভুল সংশোধনের জন্য আবেদনের যাবতীয় নথিপত্র নিয়ে যে পাসপোর্ট অফিস থেকে বর্তমান ই-পাসপোর্টটি সরবরাহ করা হয়েছিল সেখানে অনলাইনে নির্ধারণ করা তারিখে উপস্থিত হতে হবে। অতঃপর নথিপত্র বিশেষত পুরাতন পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবেদনকারীকে একটি ডেলিভারি স্লিপ প্রদান করবেন। এখানে উল্লেখ থাকবে সংশোধিত ই-পাসপোর্ট সরবরাহের সম্ভাব্য তারিখ।

সংশোধিত ই-পাসপোর্ট সংগ্রহ
সংশোধিত ই-পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য আবেদনকারীকে সশরীরে পাসপোর্ট অফিসে আসতে হবে। এসময় সঙ্গে থাকতে হবে সেই ডেলিভারি স্লিপ, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং পুরাতন ই-পাসপোর্ট। এ সময় সংশোধিত ই-পাসপোর্ট প্রদানের পূর্বে অফিস কর্মকর্তা আবেদনকারীর আঙ্গুলের ছাপ যাচাই করে নিবেন।

পরিশেষে
ই-পাসপোর্টে ভুল তথ্য সংশোধন পদ্ধতি করার পর ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে আবেদনের বর্তমান অবস্থা যাচাই করা যাবে। সংশোধিত হয়ে ই-পাসপোর্ট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এলে ওয়েবসাইট থেকেই তা জানা যাবে। উপরোক্ত সাইটে অ্যাপ্লিকেশন আইডি অথবা অনলাইন নিবন্ধন আইডি নাম্বার, জন্ম তারিখ এবং ক্যাপচা পূরণ করে চেক-এ ক্লিক করলেই ই-পাসপোর্ট স্ট্যাটাস দেখাবে। ই-পাসপোর্ট প্রস্তুত হলেই লেখা থাকবে Your passport ready for issuance। অতঃপর আবেদনকারী পাসপোর্ট অফিসে যেয়ে ই-পাসপোর্ট সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *