ইস্তিগফার দ্বারা মিলবে আল্লাহর রহমত ও নেয়ামত

ধর্ম

জুলাই ১৩, ২০২২ ১:৫৩ অপরাহ্ণ

সব নবী-রাসুল মাসুম বা নিষ্পাপ হওয়া সত্ত্বেও বেশি বেশি ইস্তিগফার করতেন। তাই আল্লাহ তায়ালার কাছে সব সময় ক্ষমা চাওয়া।

কোরআন কারিমে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, ‘তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, নিশ্চয় তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল।’ (সুরা-৭১ নুহ, আয়াত: ১০)।

‘আপনি বলুন, হে আমার (আল্লাহর) বান্দারা! যারা নিজেদের ওপর জুলুম করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সব গুনাহ মাফ করবেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা-৩৯ জুমার, আয়াত: ৫৩)।

নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘আমি দৈনিক ৭০ বার আল্লাহর কাছে ইস্তিগফার করি।’ (বুখারি, হাদিস: ৬৩০৭)। ইস্তিগফার দ্বারা আল্লাহর রহমত ও নেয়ামত লাভ করা যায়।

কোরআন পাকে এসেছে, ‘(ইস্তিগফারের ফলে) তিনি (আল্লাহ) তোমাদের প্রতি সুষম বৃষ্টি বর্ষণ করবেন। আর তোমাদের সম্পদে প্রাচুর্য ও সন্তানে বরকত দেবেন এবং তোমাদের জন্য বাগবাগিচা পানির ফোয়ারায় শোভিত করবেন।’ (সুরা-৭১ নুহ, আয়াত: ১১-১২)।

‘যে ব্যক্তি সর্বদা ইস্তিগফার করতে থাকে, আল্লাহ তাআলা তাকে সংকট থেকে মুক্তির পথ করে দেন। যাবতীয় দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি ও প্রশান্তি দান করেন এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিজিক দান করেন।’ (আবু দাউদ, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ৪৭৫, হাদিস: ১৫১৮)।

ইস্তিগফারের শ্রেষ্ঠ দোয়াকে ছায়্যদুল ইস্তিগফার বলা হয়। ছায়্যদুল ইস্তিগফার হলো অন্য সব ইস্তিগফারের মধ্যে শব্দে এবং অর্থে সেরা ও শ্রেষ্ঠ, যা রাসুলুল্লাহ (সা.) বারবার পড়তেন।’

শাদ্দাদ ইবনে আউস (রা.) বর্ণনা করেন: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দৃঢ়বিশ্বাসের সঙ্গে প্রত্যুষে এই ইস্তিগফার পাঠ করবে এবং সন্ধ্যার পূর্বে মৃত্যুবরণ করবে, সে জান্নাতবাসী হবে। আর যে ব্যক্তি তা সন্ধ্যায় পাঠ করবে এবং সকাল হওয়ার আগে ইন্তেকাল করবে, সে-ও জান্নাতি।’ (বুখারি)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *