‘আ.লীগের সম্মেলন ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে’

‘আ.লীগের সম্মেলন ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে’

জাতীয় স্লাইড

ডিসেম্বর ২৩, ২০২২ ২:৩৩ অপরাহ্ণ

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়ে। সম্মেলনের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে আমাদের ফোর্স ডিপ্লয়মেন্ট করেছি। এসবি ও র‌্যাবসহ সবাই মিলে এই ভেন্যুতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি। সব গেটে আর্চওয়ে ও সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এসব কথা বলেন তিনি। আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে নেয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসেন ডিএমপি কমিশনার।

তিনি বলেন, শনিবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ দেবেন। সারাদেশ থেকে আসবেন লক্ষাধিক  নেতাকর্মী। প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে, ত্রুটি বিচ্যুতি আছে কি না- এসব পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সব সময়ই ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। এর আগে অনেকবার তার জীবন নাশের চেষ্টা হয়েছে। আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন। এজন্য আমরা তার নিরাপত্তাকে সবসময়ই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি।

তিনি বলেন, ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে চারদিকে সুইপিং, ম্যানুয়াল সুইপিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। একই সঙ্গে সাদা পোশাকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এক কথায় আমরা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি। যেন আওয়ামী লীগ উৎসবমুখর পরিবেশে কাউন্সিল সম্পন্ন করতে পারে। আওয়ামী লীগের ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দসহ প্রধানমন্ত্রীর যেন কোনো ধরনের নিরাপত্তার ত্রুটি না থাকে সে বিষয়ে তদারকি করতে এসেছি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আপনারা জানেন বিশ্বে যত বড় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আছেন তারমধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা বারবার তার জীবন নাশের চেষ্টা করেছে। অনেকগুলো প্রমাণ আপনাদের কাছে আছে। ২১ আগস্ট, টুঙ্গিপাড়া। সেগুলোকে সামনে রেখে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি বাড়ানোসহ সব খুঁটিনাটি বিষয় মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজিয়েছি। যেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার কোনো অসুবিধা না হয়।

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, দুই জঙ্গি ছিনতাই, নতুন জঙ্গি সংগঠনের উত্থানে সুনির্দিষ্ট কোনো থ্রেট আছে বলে মনে করি না। জঙ্গি দুইজন ছিনতাই হয়েছে, এ ব্যপারে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু করেছি। এরই মধ্যে ঐ জঙ্গিদের বেশ কয়েকয়েকজন সহযোগী এবং অন্য গ্রুপের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি জঙ্গিদেরও আমরা নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করতে পেরেছি। আশা করি তাদেরও গ্রেফতার করতে পারবো। আশা করি জঙ্গিদের তরফ থেকে কোনো থ্রেট থাকবে না। যতবারই মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছে আমরা ততবারই জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। ভবিষ্যতেও সক্ষম হবো।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের গুজবের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের গুজব মনিটরিং করার সিস্টেম আছে। আমাদের ডিবিতে সাইবার ক্রাইম ইউনিট এবং সিটিটিসিতে সাইবার ইউনিট আছে। অন্যান্য সংস্থারও সামাজিক মাধ্যম মনিটরিং করার সিস্টেম আছে। আমরা মনিটর করে যাচ্ছি। আশা করবো সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়িয়েও সমাজে কোনো অস্থিরতা তৈরি করতে পারবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *