আফগানিস্তানের তালেবান সরকারে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মৌলভি আবদুল কবির।
বুধবার (১৭ মে) তাকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছেন তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হায়বাতুল্লাহ আখুন্দজাদা।
তালেবান কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দোহা চুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন আবদুল কবির। ২০২১ সাল থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বে থাকা ৭৮ বছর বয়সী মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন মৌলভি আবদুল কবির।
৬০ বছর বয়সী মৌলভি আবদুল কবির পূর্ব পাকতিয়া প্রদেশের জাদরান গোত্রের মানুষ। তার ওপর ২০০১ সাল থেকে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা ছিল।
১৯৯৬ সালে তিনি তৎকালীন তালেবান সরকারের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০০১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আক্রমণে তালেবান সরকার পতনের পর তিনি পাকিস্তানে আশ্রয় নেন।
দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান সোহেল শাহীন বুধবার বলেছেন, ‘তিনি (আখুন্দ) কয়েক সপ্তাহ ধরে অসুস্থ এবং তিনি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত কবিরকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে।’
এর আগে আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাতের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ, আবদুল কবিরের নিয়োগ রুটিন শাসন প্রক্রিয়ার অংশ। কারণ আখুন্দ চিকিৎসাধীন এবং তার বিশ্রামের প্রয়োজন।
তবে আখুন্দ কী ধরনের অসুস্থতায় ভুগছেন, তা আফগান সরকারের বিবৃতিতে প্রকাশ করা হয়নি।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, ঈদের ছুটিতে কান্দাহারে যাওয়ার পরে মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে তিনি আর কাজে ফিরতে পারেননি। এছাড়াও তিনি আরো কিছু অসুস্থতায় ভুগছিলেন। এ কারণে তিনি কিছুদিনের জন্য বিশ্রাম চাইছিলেন। ফলে তার স্থানে মোল্লা আবদুল কবিরকে নিয়োগ দেওয়া হয়।