১১ ব্যবসায়ী, বিজ্ঞানী, চাষি এবং প্রতিষ্ঠানকে পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন ও রফতানি বৃদ্ধিতে অবদানের জন্য জাতীয় পাট পুরস্কার দিয়েছে সরকার।
রোববার (৬ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পাট দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এ সময় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীও উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হচ্ছেন- বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিজেআরআই) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এইচ এম জাকির হোসেন, কুষ্টিয়ার চাষি সাহানুর আলম, পাবনার চাষি মো. আ. রাজ্জাক প্রাং, ঢাকার ব্যবসায়ী তৌহিদ বিন আব্দুস সালাম, কোহিনুর ইয়াছমিন এবং সাভারের মো. আব্দুল হাকিম। এবং প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- নীলফামারীর রানু অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, ঢাকার রাজ্জাক জুট ইন্ডাস্ট্রিজ, আকিজ জুট মিলস, করিম জুট স্পিনার্স এবং জনতা জুট মিলস।
অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাট ও পাটপণ্যের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। পাটের সম্ভাবনার সঙ্গে শাকসবজি ও ফলমূল রফতানির সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারলে বছরে পাট ও কৃষিপণ্যের রফতানি আয় শিগগিরই ১ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
পাটবীজে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাই উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যে উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছে। এটিকে কৃষকদের মধ্যে জনপ্রিয় করার কাজ চলছে।
আগামী তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশ পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবার আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, তখন ভারত থেকে পাটবীজ আর আমদানি করতে হবে না।
বস্ত্র ও পাটসচিব মো. আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ও পাট অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আতাউর রহমান বক্তব্য দেন।