চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাউন্ড অব ১৬-এর সেকেন্ড লেগে ইতালিয়ান জায়ান্ট ক্লাব য়্যুভেন্তাসকে তাদেরই ঘরের মাঠে ৩-০ গোলে হারিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে স্প্যানিশ ক্লাব ভিয়ারিয়াল।
য়্যুভেন্তাস স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) স্বাগতিকদের স্বপ্ন চুরমার হয়ে যায় ১৪ মিনিটের ব্যবধানে। ম্যাচের ৭৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ভিয়ারিয়ালকে প্রথমে লিড এনে দেন জেরার্ড মরেনো। এর ৭ মিনিট পর পাও তোরেস আর যোগ করা সময়ে দানজুমার গোলে আসর থেকে ছিটকে যায় তুরিনের ক্লাবটি।
এর আগে প্রথম লেগে ভিয়ারিয়ালের মাঠে ১-১ গোলে সমতা নিয়ে ফিরেছিল য়্যুভেন্তাস। প্রতিপক্ষের মাঠে লড়াই করলেও নিজেদের ঘরের মাঠে দর্শকদের কাঁদিয়ে আসর থেকে বিদায় নিল পাওলো দিবালারা। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ ও অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের পরে লা লিগায় তৃতীয় দলটিও জায়গা করেছিল নিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে।
ম্যাচের শুরু থেকেই অবশ্য আধিপত্য করে খেলেছে য়্যুভেন্তাস। পুরো ম্যাচে ৫৯ শতাংশ সময় তাদের দখলে ছিল বল। আক্রমণেও আধিপত্য ছিল তুরিনের ক্লাবটির। ম্যাচে তাদের নেওয়া ১৪ শটের বিপরীতে ভিয়ারিয়াল নিয়েছে ৮টি শট। দিবালাদের ৫টি শট লক্ষ্যে থাকলেও তার একটিও জড়ায়নি প্রতিপক্ষে জালে। বিপরীতে ৩ বারের সবকটিতে সফল স্প্যানিশ ক্লাবটি।
ম্যাচের ৭৫ মিনিট পর্যন্ত সব কিছু ঠিক ঠাকই ছিল। পরের মিনিটে ডি বক্সে কোয়েলিনকে ফাউল করে নিজেদের বিপদ ডেকে আনেন ড্যানিয়েল রুগানি। রেফারি প্রথমে পেনাল্টি না দিলেও পরক্ষণে ভিআর চেকে ভিয়ারিয়ালের পক্ষে বাঁশি বাজান। সফল স্পটকিকে বল জালে জড়ান মরেনো। ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে স্বাগতিকরা। আট মিনিট পর ম্যাচে ফেরার বদলে উল্টো ছিটকে যায় দিবালার।
কর্ণার থেকে অরিয়ারের বাড়ানো শট, অরক্ষিত অবস্থায় ডি বক্সে পেয়ে যান ভিয়ারিয়াল ডিফেন্ডার পাও তোরেস। পায়ের আলতো ছোঁয়ায় বল জালে জড়িয়ে দলকে ভাসান আনন্দে। আসর থেকে ছিটকে যাওয়ার বেদনায় যখন মলিন তুরিনের সমর্থকরা, ঠিক তখন য়্যুভেন্তাসের জালে শেষ পেরেকটি ঠুকেন দানজুমা। এবারও আশির্বাদ পেনাল্টি। শেষ পর্যন্ত নিজেদের ঘরের মাঠেই স্বপ্ন ভঙ্গের মাধ্যমে ইউরোপের শ্রেষ্ঠ লিগের নক আউট পর্ব থেকে বিদায় নেয় য়্যুভেন্তাস।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ছয় ম্যাচে মাত্র একবার হেরেছে য়্যুভেন্তাস। অন্যদিকে ইউরোপা লিগে টানা দুই শিরোপা জেতা কোচ উনাই এমেরির দল ভিয়ারিয়াল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ছয় ম্যাচে হেরেছে ২ বার। তবে সে সব পরিসংখ্যান যেন এই ম্যাচে কোনো প্রভাবই ফেলতে পারেনি।