সামরিক আইন ঘোষণা করার কোন ইচ্ছা নেই পুতিনের

আন্তর্জাতিক

মার্চ ৬, ২০২২ ১১:৪২ পূর্বাহ্ণ

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রবেশ করেছে। এরইমধ্যে গুঞ্জন উঠে রাশিয়ায় ‘সামরিক আইন’ জারি করার। তবে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন দেশে সামরিক আইন ঘোষণা করার কোন ইচ্ছাই নেই তার।

শনিবার (মার্চ ৫) রাশিয়ার ফ্ল্যাগশিপ ক্যারিয়ার অ্যারোফ্লট-এর কর্মীদের সঙ্গে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত বৈঠকের সময় এ কথা জানান পুতিন।

বৈঠকে তিনি বলেন, সামরিক আইন কেবল তখনই চালু করা উচিত যখন দেশে বহিরাগত আগ্রাসন হয়। সুতরাং আমরা এই মুহূর্তে তা জারি করার কোন প্রয়োজন মনে করছি না এবং ভবিষ্যতে জারি করবো না বলে আহা করি।

এর আগে, ইউক্রেনের দুটি শহরে – মারিওপোল ও ভলনোভাখা – সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে রাশিয়া। স্থানীয় সময় শনিবার এ ঘোষণা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে বেসামরিক লোকদের জন্য মানবিক সহায়তা করিডোর চালু করেছে মস্কো।

রাশিয়ান মিডিয়া স্পুটনিক জানিয়েছে, রাশিয়া বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মানবিক করিডোর খোলার অংশ হিসেবে সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ১০টা থেকে সামরিক অভিযান বন্ধ করছে রাশিয়া, যাতে করে দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের (ডিপিআর) আজভ সমুদ্র তীরের শহর মারিওপোলের বাসিন্দারা নিরাপদে গন্তব্যে যেতে পারেন।

এছাড়া, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বেলারুশে ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা দ্বিতীয় দফার আলোচনায় রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতিসহ তিন দাবি জানায় ইউক্রেন।

বৈঠক শেষে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পদলিয়াক টুইটারে বলেন, দ্বিতীয় দফার বৈঠক শেষ হয়েছে। সদিও বৈঠকে আশানুরূপ কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি, তবে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে দুই পক্ষ।

দ্বিতীয় দফার আলোচনায় ইউক্রেনের মূল উদ্দেশ্যে ছিল তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি, অস্ত্রবিরতি, বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিতে মানবিক করিডর।

বৈঠক শেষে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজেও জানান, তার সেনাবাহিনী নিরাপদ করিডরের বিষয়ে রাজি হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া এবং তার দু’দিন পর, ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শত্রু সেনাদের প্রতিহত করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নিরাপত্তা বাহিনীও।

সূত্রঃ তাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *