সন্দেহ মস্তিস্কে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। যা খুবই বিপজ্জনক একটি মানসিক ক্রিয়া। যা মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলে। এমনকি সন্দেহপ্রবণ মানসিকতার কারণে কমতে পারে আয়ুও।
সন্দেহের ফলে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সন্দেহের জেরে কোনো সম্পর্কে যেমন দূরত্ব তৈরি হয়, তেমনি বিচ্ছেদও ঘটাতে পারে।
সম্প্রতি সুইডেনের স্টকহোম ইউনিভার্সিটির কয়েকজন গবেষক বেশ কয়েক মাস প্রায় ২৪ হাজার মানুষের উপর একটি সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছে, প্রায় ৫৮ শতাংশ মানুষের মধ্যে সন্দেপ্রবণতা প্রবল। সন্দেহপ্রবণতা যে শুধু মনের উপর প্রভাব ফেলে তা নয়, শরীরের ওপরেও প্রভাব পড়ে। আর এই সন্দেহপ্রবণতার কারণে কমতে পারে আয়ু।
অন্যদিকে এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ৩৭ শতাংশ মানুষ সজাগ বিবেচনার পাশাপাশি অন্যকে বিশ্বাসও করেন স্বাভাবিকভাবেই। বাকি ৫ শতাংশ মানুষ কোনো মন্তব্য করেনি।
অতিরিক্ত মাত্রায় সন্দেহপ্রবণতা হৃদ্যন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। আয়ু কমে যাওয়ার সেটাও একটি অন্যতম কারণ হতে পারে।
তাছাড়া বয়স বাড়তে থাকলে বেশির ভাগ মানুষের সন্দেহের প্রবণতা একটু একটু করে কমতে থাকে। কম বয়সীদের মধ্যে সন্দেহ প্রবণতার পরিমাণ অনেকটাই বেশি।
স্টকহোম ইউনিভার্সিটির গবেষকদের মতে, মানসিকতার ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটিয়ে উদার চিন্তা-ভাবনার সাহায্যে সুন্দর জীবন ও দীর্ঘায়ুর অধিকারী হতে পারেন যে কোনো ব্যক্তি।
তবে এই মতামত সমর্থন করতে পারেননি মনোবিজ্ঞানীদের একটা বড় অংশ। ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা জীবনকে সুন্দর করে তুলতে পারে কিন্তু দ্বিধাহীনভাবে সবাইকে বিশ্বাস করাটাও ঠিক নয়। এতে প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।