রাশিয়া তার লক্ষ্য অর্জন করবেই: পুতিন

আন্তর্জাতিক স্লাইড

মার্চ ১৭, ২০২২ ৯:২৯ পূর্বাহ্ণ

ইউক্রেনে চলমান সামরিক অভিযানে রাশিয়া তার লক্ষ্য অর্জনের ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন; আর এই অভিযানকে কেন্দ্র করে পশ্চিম রাশিয়াকে ‘একঘরে’ করার যে চেষ্টা চালাচ্ছে, তা সফল হবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

বুধবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে পুতিন বলেন, কিয়েভের কর্তৃপক্ষ পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চায়। পশ্চিমা দেশগুলো বিভিন্ন সময়ে এ ব্যাপারে কিয়েভকে সহায়তার আশ্বাসও দিয়েছে।

এটা সত্যিকার অর্থেই রাশিয়ার জন্য হুমকি ছিল। কারণ, নিকট ভবিষ্যতেই পশ্চিমের সহায়তায় কিয়েভের নব্য নাৎসীপন্থী শাসকদল ব্যাপক বিধ্বংসী পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে ফেলত এবং নিশ্চিতভাবেই সেসব ব্যবহার করত আমাদের বিরুদ্ধে। তবে তাদের এই অভিপ্রায় সফল হবে না। ইউক্রেনে রাশিয়া তার লক্ষ্য অর্জন করবেই।

ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের একের পর এক নিষেধজ্ঞা জারির সমালোচনা করে পুতিন বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো আগে থেকেই রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল এবং এক্ষেত্রে ইউক্রেনের সামরিক অভিযানকে তারা অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করেছে।

তারা একদম খোলাখুলি ভাবে রাশিয়ার প্রতি তাদের বৈরী মনোভাব ব্যক্ত করেছে। রাশিয়াকে শক্তিশালী ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে তারা দেখতে চায় না বরং চায় একটি দুর্বল ও নির্ভরশীল রাশিয়া তাদের পছন্দ। এই দেশকে তারা খণ্ড-বিখন্ড করতে চায় এবং একঘরে করে রাখতে চায়। ভণ্ডামিপূর্ণ কথাবার্তার আড়ালে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো তাদের নিষ্ঠুর অভিপ্রায় বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে।

তবে এ লক্ষ্য কোনো দিন সফল হবে না। কারণ, রাশিয়ার ইতিহাস ও এই দেশের জনগণ সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই।

নিজ ভাষণে পশ্চিমা দেশগুলোর সাধারণ জনগণের উদ্দেশেও বক্তব্য দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘পশ্চিমা দেশগুলোর সাধারন জনগণের উদ্দেশ্যেও আমি কিছু কথা বলতে চাই। সেসব দেশের শাসকগোষ্ঠী বা অভিজাতরা নিজ দেশের জনগণের কাছে প্রচার করছে যে, বর্তমানে দৈনন্দিন জীবনে তারা যেসব সমস্যার মুখোমুখী হচ্ছে তার জন্য রাশিয়া দায়ী।

‘কিন্তু সত্য হলো, বর্তমানে যেসব সমস্যায় পশ্চিমের জনগণ পড়েছেন, তার জন্য দায়ী তাদের শাসকরা। এই অভিজাতরা যুগের পর যুগ ধরে কেবল নিজেদের স্বার্থ ও গদি রক্ষাতেই ব্যস্ত ছিল। জনগণের প্রতি তাদের কোনো মনযোগ ছিল না। শাসকগোষ্ঠীর উচ্চাকাঙ্ক্ষা, লোভ, দূরদৃষ্টির অভাব আর ভুলের মাশুল এখন গুণতে হচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলোর সাধারণ জনগণকে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *