‘রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞা দিলেন, আর ইসরাইল?’

আন্তর্জাতিক স্লাইড

মার্চ ১৩, ২০২২ ৮:১৬ পূর্বাহ্ণ

আয়ারল্যান্ডের এমপি রিচার্ড বয়েড ব্যারেট নিজ দেশের কঠোর সরকারের সমালোচনা করেছেন।

তিনি তার আইরিশ সরকারকে অভিযুক্ত করে বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছেন আপনারা। অথচ ফিলিস্তিনিদের ওপর জুলুম করা ইসরাইলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছেন না।

তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে অন্যায় কর্মকাণ্ডের জন্য রাশিয়ার জোরাল নিন্দা জানাচ্ছেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনে একই ধরনের অন্যায়কারী ইসরাইলের বিরুদ্ধে কেন কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে না?

এই ‘দ্বৈত নীতি’র জন্য তিনি আইরিশ সরকারের সমালোচনা করেন। এসময় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বেশ কিছু উদাহরণ তুলে ধরেন। এর মধ্যে গাজায় হামলা ও ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখলসহ বেশ কয়েকটি বিষয় টেনে আনেন।

বামপন্থী দল পিপল বিফোর প্রফিট দলের হয়ে আইরিশ পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করছেন রিচার্ড। তিনি বলেন, ৭০ বছর ধরে ইসরাইলের নির্মমতার শিকার ফিলিস্তিনের ব্যাপারে একটা টু শব্দ করেন না। অথচ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান ঘোষণা শুরুর পাঁচ দিনের মাথায় পুতিনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলেন।

তিনি বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইসরাইলকে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে। ঠিক একই ধরনের অপরাধ (মানবতাবিরোধী) পুতিন করছেন, আপনারা শুধু তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা শুরু করলেন। এটা কি সমর্থন করা যায়?

এদিকে রুশ সামরিক অভিযানের হাত থেকে বাঁচতে প্রতিদিনই ইউক্রেন ছেড়ে পালাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। জাতিসংঘের তথ্য বলছে, অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত ২৫ লাখের বেশি মানুষ প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড ও রোমানিয়াসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর নতুন সংকটে ইউরোপ। মধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ অভিমুখে অভিবাসী ঢলের মধ্যেই এবার ইউক্রেন থেকে প্রতিদিনই ইউরোপে আশ্রয় নিচ্ছেন হাজার হাজার শরণার্থী।

জাতিসংঘের তথ্য বলছে, রাশিয়ার হামলা থেকে জীবন বাঁচাতে এখন পর্যন্ত ইউক্রেন থেকে ২৫ লাখের বেশি শরণার্থী ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এ অবস্থায় ইউক্রেন সীমান্তে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মানবপাচারকারীরা।

বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আশ্রয় দেওয়ার নামে নারী ও শিশুদের বিভিন্ন দেশে পাচার করছেন তারা। অনেক নারী শরণার্থীরা ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *