শাবান মাসের অর্ধেক বিদায় নিয়েছে। মহিমান্বিত মাস রমজান সমাগত। এখন থেকেই প্রয়োজন তার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা। যেন রমজানের যাবতীয় কল্যাণ অর্জন করা সম্ভব হয়।
আল্লাহর রাসুল (সা.) রমজানের দুই মাস আগে থেকেই রমজান লাভের দোয়া করতেন— ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে রজব ও শাবান মাসে বরকতময় করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস : ১৩৬৯)
কাজ গুছিয়ে রাখা
রমজান ইবাদতের মাস। তাই রমজানের আগেই যদি পারিবারিক, ব্যাবসায়িক ও পেশাগত কাজগুলো গুছিয়ে রাখা যায়, তবে রমজানে অধিক সময় ইবাদতে মগ্ন থাকা যাবে। বিশেষত নারীরা সাংসারিক কাজ গুছিয়ে রাখলে তারা ইবাদতে বেশি সময় দিতে পারবেন।
জাকাত ও দানের প্রস্তুতি
মহানবী (সা.) রমজানে বেশি বেশি দান করতেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ দানশীল। রমজানে তিনি আরো অধিক দানশীল হতেন, যখন জিবরাইল (আ.) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ০৬)
তাই রমজানে দানের পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তুতি নেওয়া যেতে পারে। যদিও জাকাত প্রদানের নির্ধারিত কোনো মাস নেই। তবু আলেমরা বলেন, রমজানে জাকাত আদায়ের মাধ্যমে ব্যক্তি অধিক সওয়াবের অধিকারী হতে পারেন।
কোরআন পাঠ ও তাহাজ্জুদ
রমজানে মহানবী (সা.)-এর দুটি প্রিয় আমল ছিল কোরআন তিলাওয়াত ও তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা। রমজানে নবীজি (সা.) তার পরিবারকে তাহাজ্জুদের জন্য ঢেকে দিতেন। আর আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রমজানের প্রতি রাতেই জিবরাইল (আ.) তার সঙ্গে দেখা করতেন এবং তাঁরা পরস্পরকে কোরআন তিলাওয়াত করে শোনাতেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬)
চাঁদের হিসেব রাখা।
রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে শাবান মাসের চাঁদের হিসেব রাখতেন এবং অন্যদের উৎসাহিত করতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) শাবান মাসের খুব হিসাব করতেন। এ ছাড়া অন্য কোনো মাসের এত হিসাব করতেন না। এরপর রমজানের চাঁদ দেখে রোজা রাখতেন। আকাশ মেঘলা থাকার কারণে চাঁদ দেখা না গেলে শাবান মাস ৩০ দিনে গণনা করতেন, অতঃপর রোজা রাখতেন। ’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২৩২৫)