তিন সপ্তাহ আগে ইউক্রেনে রুশ সামরিক হামলা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ইউক্রেনে ৫ হাজার শিশু জন্ম নিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।
ইউনিসেফের মুখপাত্র জো ইংলিশের বরাত দিয়ে শুক্রবার (১৮ মার্চ) এ খবর প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরা।
জো ইংলিশ বলেন, প্রতিটি শিশুর জন্য এটি একটি পৃথক গল্প। তার প্রত্যেকেই এমন শিশু, যার জীবন উল্টে গেছে। এটি এমন একটি পরিবার, যারা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।
ইউনিসেফের মুখপাত্র আরও বলেন, ইউক্রেনের শিশুদের জরুরিভাবে শান্তি প্রয়োজন এবং তাদের এখন এটি প্রয়োজন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া সামরিক তৎপরতা বন্ধ করতে বুধবার (১৫ মার্চ) রাশিয়াকে নির্দেশ দেয় ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস। ‘রাশিয়ান ফেডারেশন অবিলম্বে ইউক্রেনে স্থগিত করুক’ নির্দেশ দেন বিচারকরা । তারা আরও বলেন, রাশিয়াকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে তার নিয়ন্ত্রণাধীন বা মস্কো দ্বারা সমর্থিত অন্যান্য বাহিনী যেন সামরিক অভিযান চালিয়ে না যায়।
মস্কো কিয়েভের ওপর হামলার শুরু করার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার রুশ প্রতিপক্ষ ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলে অভিহিত করেন । তিনি বলেন, ইউক্রেনে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ ও ভয়াবহতা সৃষ্টি করছে রাশিয়া।
তবে পশ্চিমা বিশ্ব বেশি বাড়াবাড়ি করলে পরমাণু যুদ্ধ কিংবা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুমকি দিয়ে রেখেছে মস্কো। এ অবস্থায় নতুন কৌশল নিয়ে আর্থিকভাবে পুতিনকে কাবু করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। দেশে দেশে জব্দ করা হচ্ছে রাশিয়ার সম্পদ। বিশ্ববাজারে রাশিয়ার তেল বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের জেরে মস্কোর ওপর পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার পর শুধু রাশিয়া নয়, বিশ্বব্যাপী প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। তবে আরও ভয়াবহ সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে জ্বালানি তেলের যে চাহিদা তা পূরণ হওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশ্ব থেকে রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার যে চেষ্টা চলছে, তাতে পশ্চিমা দেশগুলোই ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও মনে করছেন তারা।