যুদ্ধে জড়িয়েছে দেশ। নেমে আসছে একের পর এক পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার খড়গ। এই অবস্থায় নিশ্চয়তার আশঙ্কায় দেশ ছাড়ছে রাশিয়ার নাগরিকরা। বিবিসি শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ নাগরিকরা ফিনল্যান্ডে পাড়ি দেওয়ার উদ্দেশে দেশ ছাড়ছে।
বিবিসি জানায়, রাশিয়ার সঙ্গে ফিনল্যান্ডের সীমান্ত ক্রসিং ভ্যালিমায় পাসপোর্ট এবং কাস্টমস চেকের জন্য বাস এবং গাড়ি থামছে। তবে সীমান্ত পাড়ি দিতে ইচ্ছুক এসব মানুষ ইউক্রেনীয় নয়, রাশিয়ান।
অবশ্য সীমান্ত পার হতে ইচ্ছুকদের খুব বেশি চাপ ছিল না বলে বিবিসি জানিয়েছে।
ইউক্রেন অভিযানের বিরুদ্ধে রাশিয়া জুড়ে শুরু হওয়া ব্যাপক বিক্ষোভ দমনে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সামরিক আইন জারি করতে পারেন এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এর পর অনেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে রাশিয়া ছাড়তে মরিয়া হয়ে উঠেন।
এদিকে, ইউরোপের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় রাশিয়ার ছাড়ার একমাত্র উপায় গাড়ি কিংবা বাসে সীমান্ত পার হওয়া।
সীমান্ত পার হওয়ার সময় অপেক্ষারত এক রুশ তরুণীর সঙ্গে কথা বলেছে রাশিয়া। ওই তরুণী সেই ভাগ্যবানদের একজন যিনি নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার আগেই পেয়েছিলেন ইউরোপের ভিসা।
বিবিসিকে তিনি বলেন, ইউক্রেনের জনগণও আমাদের জনগণ– আমাদের পরিবার। আমরা তাদের হত্যা করতে দিতে পারি না।
আবার রাশিয়ায় ফিরে আসবেন কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ভীতিকর সরকার থাকাকালে নয়।
তিনি আরও বলেন, অধিকাংশ রাশিয়ানই যুদ্ধ চান না। কিন্তু পুতিনে বিরুদ্ধে বললে জেলে যাওয়ার ভয়ও তো আছে।
এদিকে, সামরিক আইন জারির কোনো পরিকল্পনা নেই বলে শনিবার জানিয়েছেন পুতিন।
রাশিয়ার ফ্ল্যাগশিপ বিমান অ্যারোফ্লটের কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সামরিক আইন জারি করা হবে শুধুমাত্র বাইরের দেশ থেমে হামলা হলেই…..এই মুহূর্তে এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা নেই এবং আশা করি আমাদের এটার দরকার হবে না।
টেলিভিশনে প্রচারিত ওই বক্তব্যে পুতিন আরও বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনকে বেসামরিকীকরণ এবং নাৎসিমুক্ত করতে চেয়েছে।
এদিকে শনিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিন বলেছে, পশ্চিমারা তাদের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে ‘গুন্ডার মতো ব্যবহার করছে’।