ডিসেম্বর ২৩, ২০২২ ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ
সম্পর্ক থাকলে, থাকবে মতানৈক্যও। এক ছাদের নিচে থাকতে গেলে একে অপরের সঙ্গে মতবিরোধ হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। সবারই নিজেস্ব মতামত আছে। ঝগড়ার থেকেও মনের কথা না বলে অভিমান পুষে রাখা আরো বড় সমস্যা ডেকে আনতে পারে। ঝগড়া করলে অনেক সময়ে জমা কথা বেরিয়ে আসে অবসান হয় মনে পুষে থাকা রাগ, অভিমানের। অন্য দিকে না বলা কথা থেকে তৈরি হতে পারে স্থায়ী সমস্যা।
অপছন্দের কাজ
আপনার সঙ্গীর কোনো কাজ আপনার অপছন্দ হতেই পারে। এটা যে অস্বাভাবিক নয়, সে কথা সবার আগে মেনে নিন। কিন্তু তা থেকে যদি অভিমান জন্মায় তবে তার বীজ নিজের মধ্যে বপন না করে বলে দিন তাকে। আপনি যা অনুভব করছেন, তা গোপন করবেন না। এতে স্বচ্ছ হয় সম্পর্ক। যেমন শীতের শেষে বসন্ত আসে, রাতের শেষে দিন আসে, তেমনই দীর্ঘ ঝগড়ার শেষে মান-অভিমান মিটিয়ে ফেললে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসা যায়।
দৃঢ় বিশ্বাস
মানুষের মন একমাত্রিক বহুমাত্রিক। বহু লুকিয়ে থাকা ক্ষত রাগ-অভিমানের সময় সামনে চলে আসে। মানুষের নিয়ন্ত্রণও থাকে না। কিন্তু পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের চিন্তাধারা একে অপরের কাছে খোলাখুলি বললে বিশ্বাস বাড়ে। অনেক ক্ষেত্রে সন্দেহবশত অনেকে মাথা গরম করেন এবং ঝগড়া করে ফেলেন। এ ক্ষেত্রে অপর জনেরও নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার দায় থেকে যায়। এ ক্ষেত্রে রুক্ষ না হয়ে যুক্তিসম্মত ভাবে একে অন্যের কথা শুনুন।
একই সঙ্গে ছুটি
আজকাল এই যন্ত্রনির্ভর ব্যস্ত জীবনে সারা দিনে একে অপরকে একবারের বেশি সময় দিতে পারেন না অনেকে। যেটুকু সময় পান, তাও ঝগড়া করে কেটে গেলে বড় মুশকিল। সপ্তাহে একই দিনে ছুটি নিন। যে দিন কাজে যেতে হবে না, সে দিন সারা সপ্তাহ সঙ্গীর প্রতি যত অভিমান পুষে রেখেছেন, সব বলে দিন। মন হালকা করুন।
শেষ কথা: ঝগড়া শুরু হওয়ার পরপরই যে জিনিসটি কথোপকথনে ঢুকে পড়ে, তা হল দোষারোপ। কিন্তু এই দোষারোপের পুরো প্রক্রিয়াটা যদি একটু উল্টে দেওয়া যায়? মানে ধরুন সঙ্গী কতটা দোষ করেছেন তা নিয়ে আলোচনা না করে দুইজনে নিজেদের দোষের তালিকা তৈরি করুন। অর্থাৎ, সঙ্গীর কাছে স্বীকার করুন আপনি কী কী ভুল করেছেন। উল্টো দিকে সঙ্গীকেও সুযোগ করে দিন তার ভুলগুলো স্বীকার করার। দেখবেন ঝগড়া তো হবেই না, বরং সুন্দর হবে সম্পর্ক।
সূত্র: আনন্দবাজার