কমনওয়েলথ গেমসের জন্য সাঁতারুদের টাইমিংয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে এবার ভারত থেকে কোচ আনছে সাঁতার ফেডারেশন। নিশ্চিত করেছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এম বি সাইফ। এদিকে, ইলেকট্রনিক স্কোর বোর্ড ছাড়াই শুরু হচ্ছে জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতা।
ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে আগামী জুলাইতে বসবে কমনওয়েলথ গেমসের ২২তম আসর। আসর সামনে রেখে গেলো নভেম্বর থেকে ক্যাম্প শুরু করে জাতীয় সাঁতারুরা। এরই মধ্যে কমনওয়েলথ গেমসের জন্য আসিফ রেজা, সুকুমার ,নাহিদ, সোনিয়া ও মরিয়মরা অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে ভালো মানের বিদেশি কোচ ছাড়া সাঁতারুদের টাইমিংয়ে উন্নতি আনা সম্ভব নয়।
তাই কমনওয়েলথ গেমসের জন্য সাঁতারুদের টাইমিংয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে এবার ভারত থেকে কোচ আনছে সাঁতার ফেডারেশন। নিশ্চিত করেছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এম বি সাইফ।
সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এম বি সাইফ বলেন, ‘রাজীব দে নামে ভারতীয় এক কোচ, যে লেভেল টু কোর্স সম্পন্ন করা একজন কোচ। আমাদের খেলোয়াড়রাও তাকে চাচ্ছে। এই কারণেই তাকে নেওয়া হয়েছে। রোজা ঈদের পর তিনি আসবেন।’
এদিকে, দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট থাকা ইলেকট্রনিক স্কোর বোর্ড ছাড়াই মিরপুর সুইমিংপুলে শুরু হচ্ছে জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতা। যদিও গেলো তিন বছরের বেশি সময় ধরে এই বোর্ড ব্যবহার হচ্ছে না। যেখানে গত জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে হ্যান্ড টাইমিংয়ের ওপর নির্ভর করতে হয়েছিলো ফেডারেশনকে। এবার সমস্যা নিরসনে নতুন ইলেকট্রনিক স্কোর বোর্ড স্থাপনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে চিঠি দেয়ার কথা জানান সাইফ।
এম বি সাইফ বলেন, ‘এই স্কোর বোর্ডের কারণে আমাদের স্পনসার থাকার পরও ন্যাশনাল গেম আয়োজন করতে পারিনি। আমাদের নতুন সচিব মহাদয় আসার পর আমরা আশা করছি তাড়াতাড়ি একটা সমাধানে যাবে।’
২০১৭ সাল থেকে দেশব্যাপী ট্যালেন্ট হান্ট শুরু করে সাঁতার ফেডারেশন। যেখান থেকে বেশকজন ভালো মানের সাঁতারুও উঠে আসে। তাই ট্যালেন্ট হ্যান্ট থেকে উঠে আসা সাঁতারুরা পাইপ লাইনকে সমৃদ্ধ করবে বলে মনে করেন ফেডারেশনের এই কর্তা।
কমনওয়েলথ গেমস সামনে রেখে আগামীতে আরো কয়েকটি টুর্নামেন্টের পরিকল্পনা রয়েছে ফেডারেশনের।