রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর স্নাইপারদের একজন বর্তমানে ইউক্রেনে পৌঁছে গেছেন।
ওয়ালি নামের প্রশিক্ষিত এই ঘাতক এর আগে আইএসআইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ২০১৫ সালে ইরাকে গিয়েছিলেন। যুদ্ধ করেছেন সিরিয়া ও আফগানিস্তানে।
কানাডার আরও তিন সাবেক সেনার সঙ্গে সম্প্রতি তিনি ইউক্রেন সীমান্তে পাড়ি জমান। তবে স্ত্রী ও সন্তানকে কানাডায় রেখে এসেছেন। ২০০৯ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে তাকে দুবার আফগানিস্তানে মোতায়েন করা হয়েছিল। কানাডার সশস্ত্র বাহিনীর স্নাইপার হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
সাড়ে তিন কিলোমিটার দূর থেকে গুলি করে তিনি মানুষ হত্যা করতে পারেন। এর আগে যেসব বিদেশি স্বেচ্ছায় ইউক্রেনের হয়ে লড়াই করতে চান, তাদের স্বাগত জানানোর কথা ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
তিনি বলেন, রাশিয়ার দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাওয়া সব বিদেশিকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
কানাডার সাবেক সেনা ওয়ালি বলেন, আমি কেবল তাদের সহায়তা করতে চেয়েছি। কারণ এখানে লোকজনের ওপর বোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে। তারা রাশিয়ান না হয়ে ইউরোপীয় হতে চাওয়ার দায়ে তাদের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ইউক্রেনে তাকে সবাই উষ্ণভাবেই স্বাগত জানিয়েছেন। রয়েল কানাডিয়ান ২২তম রেজিমেন্টের সাবেক এই স্নাইপার বলেন, তারা আমাকে পেয়ে খুবই খুশি। তাৎক্ষণিকভাবে তারা আমার বন্ধু হয়ে গেছেন।
৪০ বছর বয়সী ওয়ালি বর্তমানে বেসামরিক কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসেবে কাজ করছেন। তিনি বলেন, যুদ্ধে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনেক কঠিন। ইউক্রেনে চলে আসায় সন্তানের প্রথম জন্মবার্ষিকীও তিনি উদযাপন করতে পারছেন না।
ওয়ালি আরও জানান, সপ্তাহখানেক আগে আমি ছিলাম একজন প্রোগ্রামিংকর্মী। কিন্তু এখন ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হাতে নিয়েছি মানুষ হত্যা করতে। এটিই বর্তমানের বাস্তবতা।
অনিচ্ছাকৃত হলেও তার স্ত্রী তাকে ইউক্রেন যাওয়ার অনুমোদন দিয়েছেন। তিনি বলেন, তাকে যেতে না দেওয়া হলে তিনি ভেঙে পড়বেন। দুনিয়াটা তার কাছে তখন জেলখানার মতো মনে হবে।