স্বাস্থ্য ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে করোনায় চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েই চলেছে। আগে এত দ্রুত করোনার সংক্রমণ বাড়তে দেখা যায়নি। ওমিক্রন প্রতিরোধে টিকার বুস্টার ও চতুর্থ ডোজ অনেক দেশে দেওয়া হলেও এর তাণ্ডব থেকে রেহাই মিলছে না। বিশ্বের এ টালমাটাল এই পরিস্থিতিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১৭ লাখ ৯০ হাজার ৫৮৩ জন। এ সময় মারা গেছেন আরও ৬ হাজার ৬২১ জন।
শুক্রবার (১১ মার্চ) সকাল ৮টা পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ কোটি ৩৬ লাখ ৩৯ হাজার ২৫১ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩৮ কোটি ৭৫ লাখ ৯৩ হাজার ৪৯ জন। এ ছাড়া মারা গেছেন ৬০ লাখ ৫১ হাজার ৭৯ জন।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৬ লাখ ৯৬ হাজার ৮৪২ জন। এ সময় মারা গিয়েছিলেন ৬ হাজার ৭০৮ জন।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের সংখ্যা প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটার থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ১১ লাখ ৮ হাজার ৭৮৬ জন। এ ছাড়া মোট মৃত্যু হয়েছে ৯ লাখ ৯১ হাজার ২৬০ জনের।
আক্রান্তে দ্বিতীয় এবং মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় ৪ কোটি ২৯ লাখ ৮৩ হাজার ৭২৩ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ১৫ হাজার ৭৪৫ জনের।
আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমিত হয়েছেন ২ কোটি ৯২ লাখ ৪৯ হাজার ৯০৩ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৫৪ হাজার ১৪৭ জনের।
আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে থাকা ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ কোটি ৩৩ লাখ ৮ হাজার ৮৮০ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৮৮০ জন।
পঞ্চম স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১ কোটি ৯৪ লাখ ৫৭ হাজার ৯৭৬ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ লাখ ৬২ হাজার ৬২৪ জন।
আক্রান্তের তালিকায় রাশিয়া ষষ্ঠ, জার্মানি সপ্তম, তুরস্ক অষ্টম, ইতালি নবম ও স্পেন দশম অবস্থানে রয়েছে। এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৪১তম।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করা হয়।