বিজ্ঞানভিত্তিক ও পেশাগত বিশেষায়িত কারিগরি প্রশিক্ষন প্রসারের জন্য বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটি (বিইএস) ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
বিইএস সাধারন সম্পাদক ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, বাংলাদেশের ডায়াবেটিস, থায়রয়েড সমস্যা, দৈহিক স্থুলতা, পিসিওএস, হাড়ক্ষয়, ভিটামিন ডি-ক্যালসিয়ামসহ অন্যান্য সমস্যা, প্রজনন সমস্যা, বৃদ্ধি জনিত সমস্যা ইত্যাদি হরমোন ও মেটাবলিক রোগের কোটি কোটি রোগী রয়েছে। কিন্তু এত বিপুল সংখ্যক রোগীর বিশেষজ্ঞ সেবাদানের পরিপূর্ণ কাঠামো তৈরি সময় সাপেক্ষ এবং বিপুল অর্থ -সম্পদ বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে, যেটি এখন আমাদের পক্ষে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব নয়।
তিনি আরো বলেন, দেশে মোট ১৭৯ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবাদান করছেন। অসংখ্য রোগীকে অন্য আরও অনেক রোগের মতই ডায়াবেটিস/থায়রয়েডজনিতসহ হরমোন রোগের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন সদ্য পাশকরা জুনিয়র চিকিৎসক ও জেনারেল প্র্যাক্টিশনারগণ। যদি জুনিয়র চিকিৎসক ও জেনারেল প্র্যাক্টিশনারগণকে ডায়াবেটিস, থায়রয়েড সমস্যা, দৈহিক স্থুলতা, ভিটামিন ডি-ক্যালসিয়াম ঘাটতি, হাড়ক্ষয়, পিসিওএস, প্রজনন সমস্যা, বৃদ্ধি জনিত সমস্যা ইত্যাদি হরমোন ও মেটাবলিক রোগের ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ দেয়া যায়, তবে অতি দ্রুত সারা দেশের এ সকল রোগের চিকিৎসার গুনগতমান বৃদ্ধি পেতে পারে।
সে লক্ষ্যে দেশের চিকিৎসকদের প্রতিনিধিত্বকারী প্রধানতম সংগঠন বিএমএ এর সাথে হরমোন মেটাবলিক রোগের বিশেষজ্ঞদের সংগঠন বিইএস সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে বলেও তিনি উল্লেখ্য করেন।
বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির পক্ষে ডা. শাহজাদা সেলিম ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের পক্ষে মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এহতেসামুল হক চৌধুরী এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।
এ সময় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এসএম আশরাফুজ্জামান, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, ডা. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন চৌধুরী, ডা. তারিক মেহেদী পারভেজ, ডা. শেখ শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির সভাপতি (ইলেক্ট) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি ডা. ফারিয়া আফসানা, ডা. মারুফা মুস্তারী, প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বক্তাগণ আশা প্রকাশ করেন এ সমঝোতা স্মারক বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগনের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। এটি অন্যান্য পেশাজীবী সংগঠনগুলোর জন্য দৃষ্টান্ত হতে পারে।