বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে টালবাহানা, রামুর ঈদগড়ে ১০ একর জমিতে ব্যুরো চাষ না হওয়ার আংশকা

দেশজুড়ে

জানুয়ারি ১০, ২০২৫ ৮:০৫ অপরাহ্ণ

এস এম হুমায়ুন কবির,কক্সবাজার

কক্সবাজার রামুর ঈদগড়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সেচ মিটার সংযোগ দিতে তালবাহানা করাই ১০ একর চাষ যোগ্য জমিতে ব্যুরো মৌসুমে চাষ না হওয়ার আংশকা দেখা দিয়েছে।
রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের
মইত্যাতৈলি ও পইরা ঘোনা নামক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে গভীর নলকুপ বসিয়ে চাষীরা প্রায় ১০ একর জমিতে প্রতি ব্যুরো মৌসমে চাষ করে আসছিল।
চলতি মৌসুমে কোন কারন ছাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকজন নলকুপের বিদ্যুৎ সংযোগ না দিয়ে টালবাহানা শুরু করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্কীম ম্যানাজার তৈয়ব তাহের।
তিনি জানান এই স্কীমে গত ব্যুরো মৌসুমে ৭ জন গরীব চাষী ১০ একর জমিতে চাষ করে ভাল ফলন পেয়েছিল।
এই বছর ও চাষীরা চাষ করার আশায় বীজতলা তৈরি করেছেন।ধানের চারা দিন দিন বৃদ্ধি হচ্ছে কিন্তু এখন পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকজন সেচ মিটারের সংযোগ দেননি।
জানি না আধু বিদ্যুৎ সংযোগ মিটার পাওয়া যাবে কি না।
সেচ মিটার মালিক আবু তৈয়ব আরো জানান আমাদের ঈদগড়ের মৌলনা ছৈয়দ নুর হুজুরের চক্রান্তে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকজন কোন কারন ছাড়া সেচ মিটারের সংযোগ দিতে তালবাহানা করছেন।

কৃষক বজল আহাম্মদ জানান আমরা চাষ করার আশায় বীজতলা তৈরি করেছি।ধানের চারা বড় হয়ে গেছে কিন্তু এখন ও পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ মিটার দেওয়া হয়নি।
চাষ করতে না পারলে ছেলে সন্তান নিয়ে উপোস থাকতে হবে বলে তিনি জানান।

এই ব্যপারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঈদগড় অফিস ইনচার্জ
রফিকুল ইসলামের বক্তব্য নেওয়ার জন্য অফিসে গেলে
তাকে পাওয়া যায়নি তবে অফিসের একটি সুত্র জানিয়েছেন বিএডিসির নির্দেশে সেচ মিটার সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিএডিসির ফ্লীড অফিসার আমানুল হক জানান আমাদের পক্ষ থেকে কোন রকম নিষেধাজ্ঞা নেই।কি কারনে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সংযোগ মিটার দিচ্ছে না আমার জানা নেই।
চলতি ব্যুরো মৌসমে ১০ একর জমিতে চাষীরা যাতে চাষ করতে পারে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী