বঙ্গবন্ধু অন্যায়ের সঙ্গে কখনো আপস করেননি: স্পিকার

জাতীয় স্লাইড

মার্চ ২৮, ২০২২ ৯:৫৩ পূর্বাহ্ণ

জাতীয়  সংসদের স্পিকার  ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু অন্যায়ের সঙ্গে কখনো আপস করেননি। এই মহান নেতা সারাটি জীবন শোষিত-নিপীড়িত-বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করে গেছেন। ১৯২০ সালে টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেয়া খোকা আমাদের উপহার দিয়ে গেছেন স্বাধীনতা।

তিনি বলেন, ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ৭মার্চের দর্শন ও জাতির পিতার আদর্শ সবাইকে অনুসরণ করতে হবে। ২০২০ ও ২০২১ জাতীয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, কেননা ২০২০ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও ২০২১ আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।

রোববার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত মুজিববর্ষ আন্তঃকলেজ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ এবং ‘৭ই মার্চ ১৯৭১: একটি ভাষণে একটি জাতিরাষ্ট্রের সৃষ্টি’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি  ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

স্পিকার বলেন, ভাষার উপর আঘাত বাঙালি মেনে নিতে পারেনি। কারণ, ভাষার উপর আঘাত মানে অস্তিত্বের উপর আঘাত। ১৯৭০ এর নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরেও, পাকিস্তান সরকার অন্যায়ভাবে আমাদের ক্ষমতায় যেতে দেয়নি। পরবর্তীতে, বঙ্গবন্ধুর ডাকে উদ্বুদ্ধ হয়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। কোন ধরণের শোষণ-বঞ্চনা ও দারিদ্র্য যেন না থাকে, তাই ছিল জাতির পিতার স্বপ্ন। তার সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে চলেছেন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ মানসিক ও শারীরিক বিকাশে শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলা, ক্রীড়া, সংস্কৃতি চর্চার উন্মুক্ত সুযোগ জরুরি। এক্ষেত্রে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত মুজিববর্ষ আন্তঃকলেজ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন অর রশিদ ও স্বাগত বক্তা হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ বক্তব্য রাখেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *