হোম কন্ডিশন হওয়ায় ডারবান টেস্টে এগিয়ে থাকবে স্বাগতিকরাই। কিন্তু ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতা বিচার করলে সুযোগ থাকবে বাংলাদেশের বেশি। টেস্টের আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিয়ে নিজেদের সম্ভাবনার কথা এভাবেই বলেছেন টাইগার টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। একাদশ এখনো ঠিক না হলেও, পেসারদের ওপরই ভরসা রাখছেন ক্যাপ্টেন। শর্ট বলের আধিক্য নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে, ওয়ানডের আত্মবিশ্বাসটাকেই পুঁজি করতে চান কিংসমেডে। ডেডলক ভেঙে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে জিততে চান প্রথম টেস্ট।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সিরিজের প্রথম টেস্টে প্রোটিয়াদের মোকাবিলায় টাইগাররা মাটে নামবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায়।
ডারবান টেস্টের শুরু থেকে শেষ, সম্ভবত প্রতিদিনই আলোচনায় থাকবে বৃষ্টি। অন্তত দক্ষিণ আফ্রিকার আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে সেরকমই। ক্যাপ্টেন মুমিনুলের ভাবনার অনেকটা জুড়েই তাই উইকেটের আচরণের চেয়েও প্রাধান্য পাবে বিরূপ আবহাওয়া।
স্বাভাবিকভাবেই তাই টেস্টের আগেরদিনও নিজেদের কম্বিনেশন খুঁজছে টিম ম্যানেজমেন্ট। একজন ব্যাটার না অতিরিক্ত একজন বোলার ঠিক কোন কৌশলে যাবে লাল সবুজেরা, সেটা জানতে তাই অপেক্ষা করতেই হচ্ছে কিছুটা। তবে, ওপেনিং নিয়ে ক্যাপ্টেনের আত্মবিশ্বাস নিশ্চই আলাদা বার্তা দিচ্ছে দলকে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক বলেন, ‘আবহাওয়াটা অনেক বেশি ফ্যাক্ট হতে পারে। কন্ডিশনের উপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। ব্যাটিংয়ে তামিম ভাইয়ের সঙ্গে মাহমুদুল হাসান জয়ের নামার সম্ভাবনা বেশি।’
পুরো শক্তির দল নিয়েও ওয়ানডেতে দাঁড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা। টেস্টে আবার নেই তাদের মূল বোলাররা। প্রতিপক্ষের এসব দুর্বলতা জানা থাকলেও, নিজেদেরকে নিরঙ্কুশভাবে ফেভারিট বলতে পারছেন না মুমিনুল। মূলত হোম ভেন্যুর সুবিধাটাই নাকি এগিয়ে রাখবে প্রোটিয়াদের।
তিনি বলেন, ‘হোম ভেন্যুতে যে কোনো দেশ কিছুটা সুবিধা পায়। অভিজ্ঞতার বিচারে হয়তো আমরাও কিছুটা সুবিধা পাব। তবে দিন শেষে যারা চাপ সামলে এগিয়ে যেতে পারবে, তারাই ম্যাচে সফল হবে।’
সাদা পোশাকে বিদেশের মাটিতে ফল চাইলে মুন্সিয়ানা দেখাতে হবে পেসারদেরকে। নিউজিল্যান্ডে টেস্ট আর আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজ জয়ে সেটা এখন আত্মস্থ করেছেন তাসকিন-এবাদতরা। তাই হয়তো এখানেও মিনির তুরুপের তাস গতি তারকারাই।
এক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকান কোচদের ভূমিকাকেই প্রধান্য দিচ্ছেন মুমিনুল। তিনি বলেন, ‘একটা দেশের বিপক্ষে যখন খেলবেন, আর সে দেশের কোচিং স্টাফদেরই যখন আপনি পাচ্ছেন, তখন সেটা যে কোনো দলের জন্য অনেক পজিটিভ বিষয়। সে দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে কিভাবে মানিয়ে নেওয়া যায়, কিভাবে বল ও ব্যাট করতে হয়, এসব সম্পর্কে ভালো ধারণা পাওয়া যায়।
সেরা একাদশের তিন বোলারের সঙ্গে দুই ব্যাটারকেও আইপিএলে ছেড়ে দিতে হয়েছে আফ্রিকানদের। ডিন এলগার তাই ব্যাকফুটে ম্যাচ শুরুর আগেই। এখন, যারা আছেন তাদের নিয়ে লড়াইয়ের মন্ত্র আওড়াচ্ছেন তিনি।
এ বিষয়ে ডিন প্রোটিয়া অধিনায়ক বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার যারা চলে গেছে তাদের নিয়ে আলোচনা করাটা সময় নষ্ট। আমি যাদেরকে পেয়েছি, তারাই আমার সেরা অস্ত্র। কিংসমেডে উইকেট তুলনামূলক স্লো হয়, তবে সেটা আমাদের পেসারদের জন্য সমস্যা হবে না। আর যদি মনে হয় স্পিনাররা ভালো করবে, আমাদের সেখানেও অপশন আছে। আমরা ওয়ানডের ভুল এখানে করতে চাই না।’
টাইগার শিবিরে রাসেল ডমিঙ্গো এবং অ্যালান ডোনাল্ডের উপস্থিতি, মনস্তাত্তিকভাবে এগিয়ে রেখেছে বাংলাদেশকে।