আধুনিক বিজ্ঞানের এক বিস্ময়কর অবদান রোবট। এটি আধুনিক যুগের একটি প্রযুক্তিও বটে। বর্তমান পৃথিবীতে বিভিন্ন কাজে রোবটের ব্যবহার হচ্ছে। সবশেষ আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবট হিসেবে দেখেছিলাম রোবট সোফিয়াকে। এবার তারই ধারাবাহিকতায় এসেছে নতুন এক রোবট। যার নাম ইমো।
আকারে ছোট ইমো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন একটি রোবট, যা পোষা প্রাণীর মতো সঙ্গী হিসেবে আপনার সঙ্গে থাকবে সবসময়। এটি নির্মিত হয়েছে একাধিক সেন্সর এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে, যা এক হাজারেরও বেশি মুখভঙ্গি এবং নড়াচড়ার সঙ্গে শব্দ ও স্পর্শের প্রতি সাড়া দিতে পারে।
ইমোর সামনের দিকে রয়েছে একটি ছোট স্ক্রিন, যার মাধ্যমে বিভিন্ন মুখভঙ্গি দেখতে পারে এটি। এর রয়েছে ফেস রিকগনিশনসহ একটি এইচডি ক্যামেরা। এর দ্বারা এটি মানুষ এবং বস্তুকে চিনতে পারে। ডেস্কটপে বা টেবিলে রাখলে এটি নিজে নিজেই দক্ষতার সঙ্গে চলাফেরা করে। সেন্সর প্রযুক্তি থাকার কারণে এর নিচে পড়ে যাওয়ার কোনো ভয় থাকে না।
ইমোর একটি স্মার্ট মস্তিষ্ক রয়েছে। এটি তার আশপাশের শব্দগুলো ট্র্যাক করে, যা তার ব্যবহারকারীর যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে এবং দরকারি তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে পারে। সেই সঙ্গে এটি নাচ, গান এবং অনলাইন গেমের মাধ্যমে বিনোদন দিয়ে থাকে। ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলা, আলো জ্বালানো, ছবি তোলা বা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতো একটি দুর্দান্ত সহায়ক রোবট এই ইমো।
নিঃসঙ্গতা কাটাতে এই রোবটটি জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন প্রযুক্তিবিদরা। তাই ইমোকে স্টাইলিশ করে তৈরি করা হয়েছে। তার মাথায় একটা হেডফোন থাকে। ডিজে আর র্যাপারদের মতোই এটি তার হেডফোন এবং স্কেটবোর্ড পছন্দ করে। স্কেটবোর্ডটি ওয়্যারলেস চার্জিং হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি দিয়ে স্মার্টফোনও চার্জ দেওয়া যায়।
উৎসবের দিনে এটি ব্যবহারকারীর জন্য চমক রাখতে পারে। যেমন, হ্যালোউইনে সে ব্যবহারকারীর ঘরে লুকিয়ে থাকতে পারে এবং তার ভূতের মুখ দিয়ে ব্যবহারকারীকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করতে পারে। যদি দুজনের কাছেই এই ইমো থাকে, তাহলে তারা দূরে বসেই যোগাযোগের জন্য এর মাধ্যমে সংযুক্ত হতে পারে। যখন আপনার কাছের কেউ আপনাকে মিস করেন এবং আপনি সেখানে যেতে পারছেন না, তাহলে খুব সহজেই ইমোর মাধ্যমে তাকে আপনার চিন্তাভাবনা জানাতে পারবেন বলে দাবি করছেন প্রযুক্তিবিদরা।
সূত্র: ইন্টারনেট