সাফল্যের পুরস্কার হিসেবে এএফসি ও ফিফার স্বীকৃতি পেল বাফুফে নারী ফুটবল একাডেমি। নিশ্চিত করেছেন বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ।
সেই ২০১৪ সালে বাফুফের নারী ফুটবল ক্যাম্পের যাত্রা শুরু। এরপর থেকে বাংলার জয়ীতাদের সাফল্যের ট্রেন ছুটেই চলেছে। অনূর্ধ্ব-১৪ থেকে অনূর্ধ্ব ১৯, বয়স ভিত্তিক পর্যায়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সফলতার গল্প রয়েছে নারী ফুটবলারদের। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ এশিয়ায় যাদের অবস্থানটাও চোখে পড়ার মতো। সম্প্রতি ঘরের মাঠে অনূর্ধ্ব ১৯ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি জিতে নিজেদের সামর্থ্যের জানান দেয় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল।
এতসব সাফল্যের পুরস্কার হিসেবে এএফসি ও ফিফার স্বীকৃতি পেয়েছে বাফুফে নারী ফুটবল একাডেমি। সব মিলিয়ে এএফসির ৪৭ সদস্য দেশের মধ্যে বাফুফের নারী ফুটবল ক্যাম্প পেল প্রথম স্বীকৃতি। এটা নারী ফুটবলের জন্য ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখছেন কিরণ।
এদিকে, জুনে ফিফা উইন্ডোতে প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। এরই মধ্য তাজিকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, উজবেকিস্তান,গুয়াম ও কিরগিজস্তানের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ৫টি দেশকে চিঠি পাঠিয়েছি। তাদের কাছ থেকে এখনও সাড়া আসেনি। আসলে আমরা অবশ্যই জুনের উইন্ডোতে খেলবো। আমারা বসে নেই। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের অবকাঠামোও দরকার হবে। আমরা এখনও বাফুফে ভবনের চার তলায় আছি। এটাতে হবে না।
ভারতের জামশেদপুরে আগামী ১৫ মার্চ থকে ২৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে অনূর্ধ্ব ১৮ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। আসরকে সামনে রেখে নিজেদের প্রস্তুত করতে অনুশীলন ম্যাচ খেলছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। প্রথম দুই ম্যাচে বিকেএসপির বিপক্ষে জয় পেলেও, তৃতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছে অনূর্ধ্ব ১৮ নারী ফুটবল দল।
আগামী বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে জাতীয় নারী ফুটবল দলের মুখোমুখি হবে অনূর্ধ্ব ১৮ নারী ফুটবল দল। আর সাফে অংশ নিতে ১২ মার্চ ভারতের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে ছোটন বাহিনীর।