নাইক্ষ্যংছড়িতে আপন চাচার বিরুদ্ধে ভাতিজার অবৈধ ভাবে জমি দখলের অভিযোগ

দেশজুড়ে

ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫ ৬:২২ অপরাহ্ণ

এস এম হুমায়ুন কবির,বিশেষ প্রতিনিধি

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে আপন চাচার বিরুদ্ধে ভাতিজাদের জমি জোরপূর্ব দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের চেরারকুল এলাকায়।
এ ঘটনায় ভাতিজা মোঃ মিজানুল হক অভিযোগ করে বলেন নিজের পৈতৃক সম্পত্তির ওপর জোরপূর্বক চাচা মৃত জল কাদেরের ছেলে আবুল শামা,আবুবক্কর ছিদ্দিক গং কর্তৃক দীর্ঘ ২০বছর ধরে অবৈধভাবে জমি গুলো নিজের দখলে করে রেখেছে।

সোমবার (২ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় ঘটনাস্থলে গেলে এঘটনা সত্যতা জানা যায়।

জানা যায়,নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ২৭০ নং মৌজার খতিয়ান ও হোল্ডিং নং- ২৪৬, ২১৩, ৫৩৯, ১৮৩, ২০২, ১২৯, ১১৪/১৮৮ ও ২০৪ এর মধ্য সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ভোগ দখল করে আসছেন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের ধূসর আবুল শামা ও মৌঃ আবু বক্কর ছিদ্দিক গংরা।

মিজানুল হক বলেন আমরা আমার পিতার ওয়ারিশি এবং খতিয়ান ভুক্ত জমি চাইতে গেলে বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাদের উপর হয়রানি মুলক একাধীক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন,মামলা নং- সি আর ৩১/২০১৭ ইং মেজিস্ট্রেট কোর্ট, ও নন জি আর ৬৪/২০১৭ ইং বান্দরবান মেজিস্ট্রেট কোর্ট। আমরা ওয়ারীশগণের বিরোদ্ধে আবুল শামা গংরা যে মামলা করেছিল উক্ত মামলার রায় ০৮/০৭/২০১৯ ইং তারিখ ও ৩০/০১/২০২০ ইং তারিখ আমাদের পক্ষে হয়।

আওয়ামী ফ্যাসিবাদের ধূসর আবুল শামা ও মৌঃ আবু বক্কর ছিদ্দিক গংদের আমাদের জমি ছেড়ে দিতে বল্লে,জমি দখলে বাধা সৃষ্টি করলে প্রায় সময় অপহরণ,গুম,খুন প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

ভুক্তভোগী মোঃমিজানুল হক আরো বলেন আমার পিতার পৈতৃক সম্পত্তির জন্য আমি সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে দীর্ঘদিন ঘুরছি,কোথাও কোন সুরহা ও আইনি সহায়তা পাইনি। এই পৈতৃক সম্পত্তির জন্য আমার পরিবারকে বিভিন্নভাবে মামলা দিয়ে হয়রানি করতেছে। আমার বর্তমানে কৃষি ব্যাংক দুই লক্ষ টাকার উপরে ঋণ রয়েছে।আমি ফ্যাসিবাদের দোসর,সন্ত্রাসী আবুল শামা,মৌঃ আবু বক্কর গংদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আবুল শামা বলেন,সব সম্পত্তি আমি ভোগ করতেছি,আমি ভাতিজাদের কেন সম্পতি দিবো,আমাকে এক জন হুজুরে বলছে আমার সাথে বিয়াদবী যে দিন করেছে তাদের সম্পত্তি ঐ দিন চলে গেছে।আমি এবং আমার ভাইয়ের নামে কয়েকটি যৌথ খতিয়ান আছে উক্ত খতিয়ানের জমি আমি ভোগ করছি।যে দিন আমার ভাই মারাগেছে,আমার ভাইয়ের বৌ চলে গেছে ঐদিন সব সব সম্পত্তি চলে গেছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,আমার ভাইয়ের নামে খতিয়ান ভুক্ত জমি থাকলেও আমি জমি দিব না,তার ছেলেরা কোন জমি পাবেনা।

আপন চাচা আবু তালেব জানান আমার ভাই মারা গেছে আজ ২০ বছর,আমরা যেমন পৈতৃক সম্পত্তির মালিক আমার ভাইয়ের ওয়ারিশ গনরা ও সম্পত্তির মালিক, আমার ভাই আবুল শামা,মৌঃ আবু বক্কর গংরা আজ দীর্ঘ ২০ টি বছর জোরপূর্বক ভাবে প্রায় ১৬ কানী জমি অবৈধভাবে দখল করে আছে।

আমি অনেকবার পারিবারিকভাবে এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি,আমার মাঝে এতিম ওয়ারিশের বিন্দুমাত্র সম্পত্তি থেকে থাকলে ফিরিয়ে দেবো।

সরেজমিনে পরিদর্শনে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় ভুক্তভোগীরা প্রকৃতপক্ষে জমির ওয়ারিশ,ওয়ারিশ সনদ জালিয়াতি করে জোরপূর্বক অভিযুক্তরা ধর্মের দোহাই দিয়ে জমি নিজেদের দখলে রেখেছে।এই বিষয়ে স্থানীয়া সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ভুক্তভোগীদের জমি ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।

এবিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মাসরুরুল হক বলেন,অভিযোগ টা হাতে পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।