একদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ, অন্যদিকে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের জনপ্রিয় লিগ আইপিএলের প্রস্তাব। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অনুমতি না মেলায় শেষ পর্যন্ত কাগিসো রাবাডাদের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ শেষে বিমান ধরা হচ্ছে না তাসকিন আহমেদের। টাইগারকে পেসারকে অনুমতি না দেওয়ায় খারাপ লাগছে খালেদ মাহমুদ সুজনেরও।
সোমবার (২১ মার্চ) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুজন বলেন, ‘ওর জন্য খারাপ লাগছে। তবে সিদ্ধান্ত বোর্ডের। তাছাড়া আমাদের কাছে সব সময় দেশ আগে। তাসকিন আমাদের টপ পারফর্মার। টেস্ট সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো কন্ডিশনে তাকে আমাদের বেশি প্রয়োজন।’
এদিকে বাংলাদেশে অবস্থানরত মা, শাশুড়ি ও তিন সন্তান অসুস্থ। নিঃসন্দেহে দুশ্চিন্তায় সাকিব আল হাসান। তবে, শেষ পর্যন্ত দেশে না ফিরে দক্ষিণ আফ্রিকায় তৃতীয় ওয়ানডেতেও তার খেলার সিদ্ধান্তে দুশ্চিন্তা কেটেছে টিম ম্যানেজমেন্টের। পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। টেস্টেও থাকবে অভিন্ন লক্ষ্য। এমনটাই জানিয়েছেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন।
সিরিজে ১-১ সমতা। তৃতীয় ম্যাচটা তাই অঘোষিত ফাইনাল। জোহানেসবার্গে দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটে-বলে ধরাশায়ী হওয়ার পরও সিরিজ নিয়ে লক্ষ্যটা একইরকম। হোমে মাইটি প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না বাংলাদেশ দল।
এ বিষয়ে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রথম দিকে দ্রুত কয়েকটা উইকেট হারানোর পরে আসলে ম্যাচে ফেরাটা কঠিন ছিল। এমন পিচে ২৭০ রান এর উপরে স্কোর না করলে ম্যাচে লড়াই করা কঠিন। আর এমন পিচে হঠাৎ বাউন্স, হঠাৎ লো বলে আসলে ক্রিকেটারদের কিছু করার ছিল না। তারা এমন পিচে খেলতে অভ্যস্ত না। তবে সেঞ্চুরিয়নে আবার আমরা লড়াইয়ে ফিরব। সে সক্ষমতা আমাদের আছে।’
টিম ডিরেক্টরের আশা, ওয়ানডে সিরিজ জয়ের সুখস্মৃতি নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়তে পারবেন সাকিব। তবে, আইপিএলে ডাক পেলেও এখনই আফ্রিকা ছাড়া হচ্ছে না তাসকিন আহমেদের। বোর্ডের পাশাপাশি টিম ম্যানেজমেন্টও টাইগার পেসারকে জানিয়ে দিয়েছে, এই মুহূর্তে পরিকল্পনার বড় অংশ তিনি।
সুজন বলেন, ‘তাসকিন আমাদের পরিকল্পনার বড় অংশ। টেস্ট ম্যাচগুলোও আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাসকিনের মতো একজন ফাস্ট বোলারকে এমন উইকেটে আমাদের দুটো টেস্ট ম্যাচেই দরকার।’