বাঁ হাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে কিভাবে আরও সফল হওয়া যায়। বিপিএলে সেই টোটকাই দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। তার দেওয়া ফর্মুলাতেই ওয়ানডে সিরিজে টাইগার কাপ্তানকে প্রতি ম্যাচে আউট করেছেন আফগান পেসার ফজলহক ফারুকি। তিনি বললেন, সুইংই তার বড় অস্ত্র। যা নিয়ে দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের ফল পাচ্ছেন এখন। আইপিএলে নজরকাড়া পারফর্ম করে আরও দৃষ্টি কাড়তে চান ক্রিকেট বিশ্বের।
আফগান দলটাই এমন। যতটা আমুদে, তার চাইতে বেশি পেশাদার। সিরিজ ড্র করে টি-টোয়েন্টে ট্রফিটা নিয়ে যাচ্ছে দেশে। স্মিত নয়, তাই চওড়া হাসি ক্রিকেটারদের মুখে।
ওয়ানডেতে ১০টা পয়েন্ট, টি-টোয়েন্টিতে শেষ ম্যাচে দাপুটে জয়। এর চাইতে বোধয় বড় প্রাপ্তি ফজলহক ফারুকি। এ বছর অভিষেক হওয়া এই পেসারের ক্যারিয়ারে খেলা ৪ ওয়ানডের তিনটাই বাংলাদেশে।
বিপিএলে মোটে তিন ম্যাচ খেলেছিলেন তামিমের দল মিনিস্টার ঢাকার হয়ে। তবে সর্বনাশ হয়ে গেছে তাতেই। সুইংয়ে প্রতিপক্ষকে কিভাবে নাস্তানাবুদ করা যায়, সে পরামর্শ মিলেছিল তামিমের কাছ থেকে। যে ফর্মুলায় ৬ দিনে তিনবারই তামিমবধ ফারুকির। প্রিয় অস্ত্র সুইংকে নিয়ে যেতে চান শিল্পের পর্যায়ে।
আফগান পেসার ফজলহক ফারুকি বলেন, সুইংই আমার শক্তির বড় জায়গা। বর্তমানে যে ধরনের উইকেটে খেলা হয়, তাতে গতির সঙ্গে সুইংটা বেশি জরুরি। বিপিএল চলাকালীন বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে কিভাবে সফল হওয়া যায় তা নিয়ে তামিম পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই টোটকাতেই তাকেও আউট করেছি। যদি প্রাপ্তির কথা বলেন তবে এ সিরিজ সুপার লিগের জন্য ১০ পয়েন্ট পাওয়াকেই আমি এগিয়ে রাখবো।
ওয়ানডে সিরিজে ৬ উইকেটের পর দুই ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে হয়েছেন টি-টোয়েন্টির সিরিজসেরা। আইপিএলে চেন্নাইয়ের আর পাঞ্জাবের নেট বোলার থেকে এবার ফারুকিকে দেখা যাবে মূল দলে। খেলবেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। এই আইপিএল দিয়ে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন নবী-রশিদ-মুজিবরা। পূর্বসূরীদের দেখানো সেই পথেই ফারুকি চান হাঁটতে।
ফজলহক ফারুকি বলেন, আইপিএল অনেক বড় মঞ্চ। আগে সেখানে থাকলেও এবারই প্রথমবারের মতো মূল দলে জায়গা পেলাম। এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। এখানে পারফর্ম করে নিজেকে আরও প্রস্তুত করতে চাই।
বাংলাদেশ থেকে পরিবারের জন্য বিশেষ কি নিয়ে যাচ্ছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ফারুকি বলেন-শাড়ি।