মার্চ ১১, ২০২২ ১১:১০ পূর্বাহ্ণ
জুমু`আহ (جُمُعَة) শব্দটি আরবি। এর অর্থ একত্রিত হওয়া, সম্মিলিত হওয়া, কাতারবদ্ধ হওয়া। আর জুমার নামাজ ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। আর সেই জুমা পালন করা হয় সপ্তাহের শুক্রবার দিন। জুমার জন্যই শুক্রবার সপ্তাহের সেরা দিন। জুমার দিন অত্যন্ত তাৎপর্যবহ।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে মুমিনরা! জুমার দিন যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে এসো এবং বেচাকেনা বন্ধ করো, এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা বুঝ। এরপর নামাজ শেষ হলে জমিনে ছড়িয়ে পড়ো, আল্লাহর অনুগ্রহ (জীবিকা) তালাশ করো এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করো যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা জুমা : ৯-১০)
জুমআর নামাজ পড়তে আগে আগে মসজিদ যাওয়ার ফজিলত ও মর্যাদা অনেক বেশি। পশু কুরবানি না করেও এ দিন কুরবানি সাওয়াব পাওয়ার সুযোগ রয়েছে এ দিনে। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন ফরজ গোসল করলো। অতপর-
১. প্রথমে (সবার আগে) মসজিদে গেল, সে যেন একটি উট কুরবানি করল।
২. আর যে দ্বিতীয় মুহূর্তে গেল, সে যেন একটি গরু কুরবানি করল।
৩. আর যে তৃতীয় মুহূর্তে গেল, সে যেন একটি শিংওয়ালা দুম্বা কুরবানি করল।
৪. আর যে চতুর্থ মুহূর্তে গেল, সে যেন একটি মুরগি কুরবানি করলো।
৫. আর যে পঞ্চম মুহূর্তে গেল, সে যেন একটি ডিম কুরবানি করলো।
অতপর যখন ইমাম সাহেব বের হয়ে আসেন তখন ফেরেশতাগণ জিকির শুনতে থাকেন।’ (বুখারি)
নিন্মের হাদিসগুলোতে জুমার দিনের আরও কিছু আমলের কথা চমৎকারভাবে আলোচিত হয়েছে। হযরত আউস ইবনে আউস (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করাবে (জুমার নামাজের পূর্বে স্ত্রী-সহবাস করে তাকেও গোসল করাবে) এবং নিজেও গোসল করবে অথবা উত্তমরূপে গোসল করবে। এরপর ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে আসবে, আসার সময় হেঁটে আসবে, কোনো বাহনে চড়বে না, ইমামের কাছাকাছি বসবে, এরপর দুটি খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং (খুতবার সময়) কোনো অনর্থক কাজকর্ম করবে না, সে মসজিদে আসার প্রতিটি পদক্ষেপে একবছর নফল রোজা ও একবছর নফল নামাজের সওয়াব পাবে। (আবু দাউদ : ৩৪৫)।