অক্টোবর ৩১, ২০২৪ ৯:৩৪ পূর্বাহ্ণ
ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র কার্যক্রম তিন মাসের মধ্যে নিষিদ্ধ করতে পার্লামেন্টে বিল পাস করেছে ইসরাইল। এতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। একই সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেকগুলো দেশ।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিরোধিতা সত্ত্বেও ইসরাইলের এমপিরা এ বিষয়ে দুটি বিল পাসের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এর ফলে ইউএনআরডব্লিউএ-কে ইসরাইল, অধিকৃত পূর্ব জেরুসালেম ও দখলীকৃত পশ্চিম তীর ও গাজায় কার্যক্রম পরিচালনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হবে।
গাজায় যুদ্ধকালে আশ্রয় শিবির তৈরি এবং ত্রাণ বিতরণে জাতিসংঘের এ বৃহত্তম সংস্থাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ইউএনআরডব্লিউএ কমিশনার জেনারেল ফিলিপ্পে লাজ্জারিনি তার সংস্থার ওপর এ ধরনের নিষেধাজ্ঞাকে নজিরবিহীন উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা করেছেন।
তিনি বলেছেন এটি জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস আইনটি কার্যকর হলে এর ‘বিপর্যয়কর পরিণতি’ সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে ইউএনআরডব্লিউএ গাজায় উপত্যকায় ত্রাণ বিতরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং ‘এ মূহুর্তে অন্য কেউ তাদের জায়গা নিতে পারবে না’।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার বলেছেন তিনি মারাত্মক উদ্বিগ্ন এবং নতুন আইন গাজায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলবে। একই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে জার্মানি, বেলজিয়াম, আয়ারল্যান্ড, স্পেন ও নরওয়েসহ আরও কয়েকটি দেশ।
ইসরাইল দাবি করে আসছিলো যে গাজায় হামাসের সঙ্গে মিলে কাজ করছিলো জাতিসংঘের এই সংস্থার কর্মীরা।
গত বছর সাত অক্টোবর ইসরাইলে যে হামলা হামাস করেছে তাতে এই সংস্থার কর্মীরাও অংশ নিয়েছে।
জাতিসংঘ পরে তদন্ত করে এই সংস্থার নয় জনকে চিহ্নিত করেছে যাদের ওই হামলার সঙ্গে যোগসূত্র থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
গত আগস্টেই তাদের বরখাস্ত করার কথা বলেছেন জাতিসংঘের উপ মুখপাত্র ফারহান হক। গাজার একজন সাংবাদিক জানিয়েছেন গাজার বাস্তুচ্যুত শরণার্থীদের বেশিরভাগই ইউএনআরডব্লিউএ- এর খাদ্য সহায়তার ওপর নির্ভর করে। গাজায় বেশির ভাগ ত্রাণ সহায়তা দেয় ইউএনআরডব্লিউএ।ইসরাইলের নিষেধাজ্ঞা তাদের মানবিক কার্যক্রমকে ধ্বংস করে দিবে।