গরমের তাপদাহ বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে নানান ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাবও। এ সময় মানুষের মধ্যে ডায়রিয়া, হজমজনিত সমস্যা, পেটের গোলমালের সঙ্গে দেখা দেয় জন্ডিস রোগটিও।
চিকিৎসা শাস্ত্রে জন্ডিস একটি অবস্থার নাম। যা হেপাটাইসিস রোগের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই ব্যাধি সরাসরি আক্রমণ করে আমাদের লিভারকে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, খাবার ও পানীয় থেকেই এই রোগের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে। রক্তে হলুদ রঙের পিত্ত বিলিরুবিন বেড়ে গেলে মানুষের শরীরে দেখা দেয় জন্ডিস।
বিলিরুবিন শরীরের স্বাভাবিক রক্তচলাচল ব্যাহত করে। এর লক্ষণ অনেক সময়ে খুব সহজে ধরা পড়ে না। প্রাথমিক অবস্থায় অবহেলা করলে জন্ডিস মারাত্মক আকার নিতে পারে বলে মনে করেন গবেষকরা।
জন্ডিস মূলত তিন ধরনের হয়ে থাকে। এগুলো হলো প্রিহেপাটিক জন্ডিস, হেপাটোসেলুলার জন্ডিস ও পোস্ট হেপাটিক জন্ডিস বা অবস্ট্রাকটিভ জন্ডিস। এই তিন ধরনের জন্ডিসেই আপনার মধ্যে সাধারণ কিছু উপসর্গ পরিলক্ষিত হতে পারে।
চিকিৎসকরা জানান, জন্ডিসে আক্রান্ত হলে লিভারে পিত্ত জমা হতে থাকে। যার কারণে ত্বক ও চোখ হলুদ বর্ণ ধারণ করে। তাই জন্ডিসের সমস্যার অন্যতম লক্ষণ হল ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, লিভারে জমে থাকে পিত্ত পিত্তনালীতে প্রদাহ সৃষ্টি করে। ফলে জন্ডিস হলে পেটে জ্বালা ভাব থাকে। তাই আপনার যদি মাঝে মাঝেই পেটে ব্যথা হয় বিশেষ করে পাঁজরের নিচের ডান দিকে সব সময় ব্যথা হয়, বমিভাব থাকে এমন লক্ষণগুলোতে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আমাদের হজম প্রক্রিয়ায় অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে লিভার। এটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ক্ষুধা কমে যায়। খাওয়া-দাওয়ায়ও অনীহা জন্ম নেয়। ধীরে ধীরে ওজন কমতে থাকে। তাই আপনার যদি ওজন কমার সমস্যা থেকে থাকে তবে তার প্রকৃত কারণ এখনই খুঁজে বের করুন। কেননা ওজন হ্রাসও জন্ডিসের একটি অন্যতম কারণ।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা