অক্টোবর ১৬, ২০২২ ৮:২১ পূর্বাহ্ণ
পার্লামেন্টে অধিবেশন চলাকালে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে স্মার্টফোন ভেঙ্গেছেন তুরস্কের এক আইনপ্রণেতা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো গুজব ঠেকাতে প্রস্তাবিত বিল পাস ঠেকাতেই এ নাটকীয়তা।
বুধবার (১২ অক্টোবর) বিরোধী দলীয় নেতা বুরাক ইরবে এ কাণ্ড ঘটান। তার অভিযোগ, গুজব ঠেকানোর অজুহাতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মুক্তবাক চর্চায় হস্তক্ষেপ করবে সরকার। সে কারণেই নীতিমালা প্রণয়নের ওপর করা হচ্ছে গুরুত্বারোপ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া তথ্য ছড়ানোর বিষয়ে প্রস্তাবিত একটি বিলের প্রতিবাদে সংসদে বক্তৃতা দেওয়ার সময় হাতুড়ি দিয়ে ফোন ভেঙে ফেলেন বুরাক।
একটি ভিডিও বার্তায় দেখা যায় যে, বুরাক একটি হাতুড়ি বের করে সেটি দিয়ে তার মোবাইল ফোনটি ভেঙে ছুড়ে ফেলে দেন। এসময় তিনি বলেন, যদি এই আইনটি পাস হয় তাহলে আমার তরুণ ভাই-বোনদের বলছি, ফোন বের করে, এভাবে ভেঙে ফেলা দরকার।
ইউরোপীয় একটি আইনি সংস্থা বলছে, তুরস্ক সরকারের এই আইন বাকস্বাধীনতার পরিপন্থি এবং আগামী বছরের নির্বাচন কাভারেজে গণমাধ্যমের জন্য ক্ষতিকর হবে। এটি প্রত্যাখ্যানের আহ্বানও জানায় সংস্থাটি।
ইউরোপের কাউন্সিলকে পরামর্শ দেয় এমন ভেনিস কমিশন বলছে, কারাদণ্ড ও খসড়া আইনের অন্যান্য পদক্ষেপে মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হবে।
প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোয়ানের সরকার বলছে যে আইনটি সংবাদমাধ্যমে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুল তথ্য প্রচারের বিষয়টির সমাধান করবে। তার ক্ষমতাসীন একে পার্টি এবং মিত্রদের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে যে এই সপ্তাহের মধ্যেই বিলটি পাস হবে।
সমালোচক, বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতা, গণমাধ্যমকর্মীসহ আরো অনেকেই এই আইনে শাস্তির বিধান নিয়ে উদ্বিগ্ন। যে কেউ এই আইনের ব্যত্যয় ঘটালে এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
সূত্র: ইউরো নিউজ