ক্লান্তি দূর করতে প্রয়োজন সাত ধরনের বিশ্রাম

লাইফস্টাইল স্পেশাল

মার্চ ৯, ২০২২ ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ

সারাদিনের ধকল সামলে নিজের দিকে খেয়াল রাখাটাও খুব জরুরি। ক্লান্তি দূর করতে প্রয়োজন যথেষ্ট পরিমাণ বিশ্রাম। জানেন কি, নেপোলিয়নও নাকি যুদ্ধের মাঝেই ঘুমিয়ে নিতেন ঘোড়ার পিঠে।

কথাটির সত্যতা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও ক্লান্তি দূর করতে ঘুমের উপযোগিতা নিয়ে কারো মনে কোনো সংশয় নেই। এছাড়াও ক্লান্তি দূর করতে প্রয়োজন সাত ধরনের বিশ্রাম। চলুন জেনে নেয়া যাক বিস্তারিত-

শারীরিক বিশ্রাম

দীর্ঘ সময় একটানা কাজ করার বদলে সুযোগ বুঝে মিনিট দশেকের ঘুম সত্যিই চাঙ্গা করতে পারে শরীরকে। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক অন্তত ছ’ঘণ্টার নিরবিচ্ছিন্ন ঘুম দরকার।

মানসিক বিশ্রাম

শরীরের সঙ্গে জরুরি মনের খেয়াল রাখাও। মানসিক চাপ ও শারীরিক ক্লান্তি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। ক্লান্তিকর দিনের শেষে মানসিক চাপ কমাতে কাজে আসতে পারে নিয়মিত ধ্যান বা মন শান্ত করা গান।

আবেগের বিশ্রাম

মানসিক চাপের থেকে আবেগের টানাপড়েন কিছুটা আলাদা। ব্যক্তিত্বের ভিন্নতায় বিশ্রামের পদ্ধতিও ভিন্ন। কেউ আরাম পান নিভৃত যাপনে, কারো আবার আরাম হয় পরিজনের সামনে আবেগের বহিঃপ্রকাশে। পরিজনের সঙ্গে নিজের আবেগ সংক্রান্ত কথা বলাও এক ধরনের বিশ্রাম।

সামাজিক বিরতি

সহকর্মী থেকে বন্ধুবান্ধব, রোজের জীবনে বহু মানুষের সঙ্গেই কথা বলতে হয় আমাদের। অনেক সময়ে সেই তালিকা থেকে বাদ পড়ে যেতে হয় নিজেকেই। অত্যধিক সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহারও ক্লান্তি ডেকে আনে। কিন্তু ক্লান্তি দূর করতে নিজের সঙ্গে কথা বলাও সমান জরুরি। মাঝেমধ্যে বন্ধু বা পরিজনের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে নিজের জন্য বরাদ্দ করুন সময়।

সৃজনশীলতা

সৃজনশীলতা চাপ কমাতে সহায়তা করে। ভালো রাখে শরীর মন, দুই-ই। নিজের মতো সময় বার করে ছবি আঁকা, গান গাওয়া কিংবা পছন্দের কবিতা আবৃত্তি করা কমাতে পারে ক্লান্তি।

আধ্যাত্মিকতা

একই ধরনের কাজ দীর্ঘদিন করলে তৈরি হতে পারে একঘেয়েমি। এই একঘেয়েমি এমন পর্যায়ে যেতে পারে যে, নিজের জীবনের লক্ষ্য ও ভবিষ্যত নিয়ে তৈরি হতে পারে সংশয়। এই সমস্যা কাটাতে সহায়তা করতে পারে আধ্যাত্মিকতা। বিশেষত, প্রকৃতির মধ্যে গিয়ে কিছুটা সময় কাটানো বা ধ্যান বেশ উপকারি হতে পারে।

সংবেদন মুক্তি

পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের কোনো কোনোটি সর্বক্ষণ সজাগ থাকে। তাই ইন্দ্রিয়গুলোর বিশ্রাম অত্যন্ত জরুরি। সম্ভব হলে একটি গোটা দিন দূরে থাকুন মোবাইল, ল্যাপটপ থেকে। কোনো ধরনের শব্দহীন শান্ত অন্ধকার স্থানে সময় কাটানোও উপকারী হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *