ভারতে প্রথম করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ এলেও, দ্বিতীয় দফায় সবার নেগেটিভ ফলাফল আসায়, গোটা দল নিয়েই প্রথমবারের মতো অনুশীলনে নেমেছে বাংলাদেশ। ২৩ সদস্যের পুরো দল সুস্থ থাকায়, চিন্তামুক্ত ফুটবলাররা। জামশেদপুরের টাটা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৮ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। ১৭ মার্চ নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশ দলের সাফ মিশন।
প্রতিপক্ষের কোনো প্রতিনিধি এই অনুশীলন সেশনে গোপনে নজর রাখলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা। নারী ফুটবল বিশেষ করে বয়সভিত্তিক পর্যায়ে দক্ষিণ এশিয়ায় রীতিমত ত্রাসের নাম বাংলাদেশ। অনূর্ধ্ব-১৮ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সবশেষ দুই আসরের চ্যাম্পিয়নও লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। তাই ছোটন বাহিনীর প্র্যাক্টিস স্ট্র্যাটেজি নিয়ে আগ্রহ থাকতেই পারে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর।
তবে, জামশেদপুরে একেবারে নির্ঝঞ্ঝাটভাবে অনুশীলনে নামা হয়নি শামসুন্নাহারদের। ১২ মার্চ সেখানে পৌঁছানোর পর করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ ফলাফল আসে এক ফুটবলার ও দুই কর্মকর্তার। যদিও জানা গেছে, পরের পরীক্ষায় নেগেটিভ আসায় প্রথম অনুশীলনেই যোগ দিয়েছেন ঐ ফুটবলার। পজিটিভ আছেন কেবল এক কর্মকর্তা। ২৩ সদস্যের পুরো দল একসঙ্গে অনুশীলনে নামতে পারায় খুশি ফুটবলাররা।
এদিকে বাংলাদেশ দলের ফরোয়ার্ড আনিকা তানজুম বলেন, ‘আজ আমাদের কোভিড টেস্টের রেজাল্ট এসেছে। আমাদের সবার নেগেটিভ এসেছে। আজই প্রথম আমরা মাঠে অনুশীলন করেছি এবং সুস্থভাবে হোটেলে ফিরে এসেছি।’
২০১৮ সালে ৬ এবং ২০২১ সালে ৫ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। এবার দলসংখ্যা মাত্র তিনটি- বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল। দলসংখ্যা কমায় পরিসর কিছুটা ছোট হয়ে এলেও, আসরে নিজেদের ইতিহাস অক্ষুন্ন রাখতে চায় বাংলার মেয়েরা।
জাতীয় দলের মিডফিল্ডার মাহফুজা খাতুন বলেন, ‘আমরা সুস্থভাবে অনুশীলন করে হোটেলে ফিরেছি। ১৭ তারিখ আমাদের প্রথম ম্যাচ। আমরা দেশবাসীর কাছে দোয়া চাচ্ছি।’
অগ্রজদের সাফল্যের ফলে বর্তমান ফুটবলারদের গায়েও ফেভারিট তকমা। তবে, একেবারে কোচ ও টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য নির্ভার থাকা কঠিন। এই দলটা যে একেবারে নতুন। ৩ দলের আসরে রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে নির্ধারিত হবে দুই ফাইনালিস্ট। তাই বেশ হিসেব করেই খেলতে হবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের।