কেউ আনন্দে কোর্টে যায় না: সাইমন

বিনোদন

মার্চ ৭, ২০২২ ৯:৩৩ পূর্বাহ্ণ

‘কেউ আনন্দে কোর্টে যায় না। নাচতে নাচতে কিন্তু আদালতে যাইনি।’ এক প্রশ্নের উত্তরে রোববার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় এমনটাই বলেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক।

২ মার্চ জায়েদ খানের পক্ষে উচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে আপিল করেছেন নিপুণ। রোববার (৬ মার্চ) বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের একক বেঞ্চে আপিল শুনানি হয়েছে। জায়েদ খানকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। আগামী চার সপ্তাহ এ পদে স্থিতাবস্থা থাকবে বলেও জানান আদালত।

সুপ্রিম কোর্টের এ আদেশের পর সন্ধ্যায় এফডিসিতে আসেন নিপুণ। তার সঙ্গে ছিলেন সাইমন সাদিক। শিল্পী সমিতির সামনের বাগানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ‍নিপুণ। উত্তর দেন বিভিন্ন প্রশ্নের।

শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে দুই পক্ষই আদালতে যাচ্ছেন। বিষয়টি বিব্রতকর কি না? জানতে চাইলে সাইমন বলেন, ‘অবশ্যই বিব্রতকর। কেউ আনন্দে কোর্টে যায় না। নাচতে নাচতে কিন্তু আদালতে যাইনি। আমি শুটিংয়ে ছিলাম, আপা শুটিং করছে, শো করছে। সেখান থেকে এসে আদালতে যেতে হচ্ছে। আমরা কিন্তু আনন্দে নেই। এটা আমাদের ভালো লাগছে না। আমরা কিন্তু একটি সুরাহা পেয়েছিলাম আপিল বোর্ড থেকে। তারা এটাকে মানেনি, কোর্টে গেছেন। আমরাও দৌড়াচ্ছি, দৌড়াব, আদালতের প্রতি আমরা সম্মান প্রদর্শন করি, আস্থা রাখি।’

যোগ করে সাইমন সাদিক আরও বলেন, ‘কোর্ট থেকে এখনো কোনো কাগজ বের হয়নি। কোর্ট থেকে রায়ের কোনো কাগজ বের হয়নি। যে কাগজ দেখিয়ে শপথ নিয়েছেন সেটি ভুয়া ছিল। আমি অনেকের কাছে চেয়েছি, উনি (জায়েদ খান) কাউকে দেয়নি। কেন দেয়নি? কারণ, কাগজটি সঠিক ছিল না। জাল কাগজ দেখিয়ে শপথ করিয়ে নিয়েছেন। বিষয়টি আইনসিদ্ধ নয়, এটি অনৈতিক কাজ, জাল কাজ।’

এ সময় প্রশ্ন তুলেন সাইমন সাদিক। বলেন, ‘বন্ধের দিন আপনাকে কেন সরকারি কাগজ দেবে?’

গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচন। ১৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন জায়েদ খান। ভোটারদের রায় মেনে নেননি নিপুণ। আপিল করেন আপিল বোর্ডে। পাশাপাশি জায়েদ খানের নামে বিভিন্ন অভিযোগ করেন। তার মধ্যে অন্যতম, নোট দিয়ে ভোট কিনেছেন জায়েদ খান।

অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জায়েদ খানের সাধারণ সম্পাদকের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান। নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়ী ঘোষণা করা হয়। এরপর শপথ নেন নিপুণ। আদালতের দ্বারস্থ হন জায়েদ খান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *