কিংসমেডের পরিসংখ্যান আশা দেখাচ্ছে মুুমিনুলদের

খেলা স্লাইড

মার্চ ৩১, ২০২২ ৮:১৪ পূর্বাহ্ণ

ওয়ানডে সিরিজ জেতার পর টেস্ট মিশনে টিম বাংলাদেশ। যে মিশনের শুরুটা হবে দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম পুরনো ডারবানের কিংসমেড স্টেডিয়ামে। নানা কারণে যা ক্রিকেট ইতিহাসের পাতায় বিশেষভাবে স্মরনীয় হয়ে আছে। এই মাঠের পরিসংখ্যান বলছে, স্বাগতিকদের তুলনায় সফরকারীদেরই জ্বলে ওঠার সম্ভাবনা বেশি।

ক’মাস পরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০ বছর পূর্ণ হবে ডারবানের কিংসমেড স্টেডিয়ামের। সাগর পাড়ের সৌন্দর্য আর ১৯৩৯ সালের ঐতিহাসিক ‘টাইমলেস টেস্ট’ এর কল্যাণে বিশেষভাবে সমাদৃত দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠ।

এই ঐতিহাসিক মাঠেই সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। যে ম্যাচের মধ্য দিয়ে, দীর্ঘ তিন বছরের বিরতি শেষে টেস্ট ফিরবে ডারবানে। সবশেষ ২০১৯-এ যে টেস্ট খেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, তাতে রোমাঞ্চকর এক জয়ের সাক্ষী হয়েছিল শ্রীলঙ্কা।

এই মাঠে বাংলাদেশ খেলতে নেমেছে মাত্র একবার। তাও প্রায় দুই দশক আগে। ২০০৩ বিশ্বকাপে কানাডার বিপক্ষে সে ম্যাচে অবশ্য তিক্ত পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছিল খালেদ মাসুদ পাইলটের দল।

তবে বাংলাদেশ আত্মবিশ্বাস পেতে পারে পরিসংখ্যানের হিসেব-নিকেষে। ডারবান বরাবরই অপয়া স্বাগতিকদের জন্য। শেষ ১৩ বছরে এই মাঠে প্রোটিয়াদের জয়ের সংখ্যা মোটে একটি। সফরকারী হিসেবে খেলতে নেমে জয়ী হয়ে মাঠ ছেড়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, শ্রীলঙ্কার মতো দলগুলো।

কিংসমেডে এ যাবত টেস্ট আয়োজন করেছে ৪৪টি। যার মধ্যে আগে ব্যাট করা দল জিতেছে ১৭টিতে। পরে ব্যাট করেও জয়ী হবার নজির ১৩টি। এক ইনিংসে সর্বোচ্চ দলীয় রান ৬৫৮, ২০০৩ সালে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে যা করেছিল প্রোটিয়ারা।

আর ১৯৯৬ সালে এই মাঠে খেলতে নেমে লজ্জায় পুড়েছিল ভারত। টাইগারদের বর্তমান বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডের বোলিং তোপে মাত্র ৬৬ রানে গুটিয়ে যায় শচীন টেন্ডুলকারের দল। এই মাঠে শেষ ২৬ বছর যাবত সেটাই কি না সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড।

ডারবানের এই ইতিহাস ও সৌন্দর্য ছাপিয়ে বড় মাথা ব্যাথার কারণ হতে পারে আবহাওয়া। তবে তা ছাপিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জেতা বাংলাদেশ সাদা পোশাকে কেমন করে, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *