কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, যেভাবে দুশ্চিন্তামুক্ত হবেন

কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, যেভাবে দুশ্চিন্তামুক্ত হবেন

লাইফস্টাইল স্পেশাল

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ৭:০৭ পূর্বাহ্ণ

আপনার চাকরির ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা মানসিক চাপ আরও বাড়িয়ে তোলে। ফলে কেউ খিটখিটে মেজাজের হয়ে যান, আবার কেউ অতিরিক্ত সন্দেহপ্রবণ হয়ে ওঠেন।

চাকরিটা থাকবে তো, বেতন ঠিকমতো বাড়বে তো, কাজে ভুল হচ্ছে না তো?—এমন সব প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খায়। কর্মক্ষেত্রে এমন নানা বিষয়ে দুশ্চিন্তা লেগেই থাকে। বিশেষ করে এখনকার প্রজন্ম কাজের জায়গায় সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। আর তার বড়সড় প্রভাব পড়ে আচার-আচরণে, এমনকি ব্যক্তিগত জীবনেও। দুশ্চিন্তার কারণে অনিদ্রার সমস্যাও দেখা দেয়। এমন মানসিক পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার উপায় জানুন।

এ বিষয়ে মনোবিদ অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলেছেন, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার সমস্যা এখন বেশিরভাগ মানুষেরই। এর নানা কারণ থাকতে পারে। কেউ সারা বছর কাজে ফাঁকি দিয়ে পরে দুশ্চিন্তায় ভোগেন, আবার কেউ সব সময়েই সাফল্যের শিখরে থাকতে চেয়ে উদ্বেগে ভোগেন। নিজের জায়গা হারিয়ে ফেলার ভয়ও কাজ করে। খরচ ও সঞ্চয়ের মধ্যে যারা ভারসাম্য রাখতে পারেন না, তারাও এমন অনিশ্চয়তায় ভোগেন।

দুশ্চিন্তা কাটানোর উপায়—

১. নিরাশা বা নিরাপত্তাহীনতায় একবার ভুগতে শুরু করলে তার কোনো শেষ নেই! তাই সব সময়েই ইতিবাচক চিন্তা করুন। অযথা উদ্বেগে না ভুগে নিজের কাজ সময়মতো করার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নিজের কাজের খুঁটিনাটি জানিয়ে রাখুন। এতে দুশ্চিন্তা অনেক কমবে।

২. নিজের কাজ নিয়ে খুশি থাকার চেষ্টা করুন। অনিন্দিতার পরামর্শ আর কাজ নিয়ে খুশি না থাকলে মনে নানা রকম চিন্তা আসতে বাধ্য। গুরুত্বপূর্ণ কাজ সময়ে শেষ করার চেষ্টা করুন। কাজ ফেলে বা জমিয়ে রাখবেন না। দিনের শুরুতেই কাজের তালিকা বানিয়ে নিন। কী কী কাজ করছেন তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে রাখুন। সহকর্মীদের সঙ্গেও আলোচনা করুন। যোগাযোগ রেখে চললে চিন্তার পারদ অনেক নেমে যাবে।

৩. আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য রেখে চললে দুশ্চিন্তা কম হবে। শুরু থেকেই সঞ্চয়ের ভাবনা রাখুন। কীভাবে টাকা সঞ্চয় করবেন, কোথায় কোথায় লগ্নি করে রাখলে লাভ হবে তা জেনে নিন। মনকে প্রস্তুত করে নিন এই ভেবে যে কখনো যদি কর্মক্ষেত্রে কোনো অঘটন ঘটে যায় বা চাকরি না থাকে, তাহলে নতুন চাকরি খুঁজে না পাওয়া অবধি কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না।

৪. কাজের জায়গায় নতুন কোনো ট্রেনিং শুরু হলে সেখানে যোগ দিন। সব সময়েই পড়াশোনার মধ্যে থাকার চেষ্টা করুন। কাজ নিয়ে অভিজ্ঞতা যত বাড়বে, ততই দুশ্চিন্তা কম হবে। চাকরি চলে গেলেও নতুন চাকরি খুঁজে নিতে অসুবিধা হবে না।

৫. ইচিবাচক ভাবনা নিয়ে চলা খুব জরুরি। অনিন্দিতা বলছেন, অন্যের সাফল্য দেখে উৎকণ্ঠায় ভুগবেন না। বরং নিজের ১০০ শতাংশ দেওয়ার চেষ্টা করুন। পরবর্তীকালে হয়তো সফল আপনিই হবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *