সিরিজ জুড়ে রান না পাওয়ার আক্ষেপ থাকলেও, আউট হওয়ার ধরণ নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নন তামিম ইকবাল। ক্রিকেট ম্যাচে এমন ঘটনা ঘটতেই পারে, এমন মন্তব্য তার। নিজের চেয়েও সতীর্থদের পারফরম্যান্স এবং মিডল অর্ডারের ভেঙে পড়াটা বেশি ভাবাচ্ছে তাকে। মিসফিল্ডিং এবং ক্যাচ মিস নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকলেও, দ্রুত এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠা যাবে বলে মনে করেন ওয়ানডে দলপতি।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তার একই বোলারের কাছে তিন ম্যাচেই আউট নিয়ে কথা বলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক। তামিম বলেন, ‘এক বোলারের বলে আউট, এটা ক্রিকেটে হতেই পারে। এখানেই সব শেষ নয়। এ জায়গা দিয়ে আমি অনেক রান করেছি।’
রান না পাওয়াটা সবসময় বড় সমস্যা নয়। কিন্তু এ রকম মনোভাব যদি দলের অধিনায়ক পোষণ করেন, তাহলে সেটা দলের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। সিরিজ জুড়ে এক বোলারের বিপক্ষে একই ডেলিভারিতে আউট হওয়ার পরও যদি কারো কাছে এটাকে বড় কোন সমস্যা না মনে হয়, তাহলে সেটা আর যাই হোক, ড্রেসিং রুমে ইতিবাচক বার্তা দেয় না।
আন্ডার পারফর্ম ক্যাপ্টেনের নেতৃত্বে কখনই ভালো করে না বাংলাদেশ। শেষ দুটি আইসিসি ইভেন্ট যার বড় প্রমাণ। ২০১৫’তে অধিনায়ক মাশরাফী বল হাতে ছন্দে ছিলেন বলেই কোয়ার্টারে উঠেছিলো টাইগাররা। কিন্তু পরের দুটি আসরেই ব্যাটে বলে ছন্দহীন ছিলো তৎকালীন কাপ্তানরা। ফলাফল, ছন্নছাড়া বাংলাদেশ।
আফগানদের বিপক্ষে সিরিজটা ঘরে আসলেও, মূল্যবান ১০ পয়েন্ট হারিয়েছে লাল সবুজের দল। লিটন, আফিফ, মিরাজরা না দাঁড়ালে হয়তো, হারাতে হতো আরো বেশিকিছু। তাই তো শেষ ম্যাচে মিডল অর্ডারের ভেঙে পড়াটা কোনভাবেই মানতে পারছেন না দলপতি।
তামিম বলেন, ‘আমি এটা বলছিনা আমরা ২৫০ করলে জিতে জেতাম। তবে সে রান করলে আমাদের সুযোগ ছিল কিছু করার। তাদের আরও প্রেসারে ফেরার সুযোগ তখন থাকত।’
ব্যাটে-বলে কিছু মুন্সিয়ানা দেখানো গেছে সাগরিকায়। বিজয়ীর কাতারে তাই তো উড়ছে বাংলাদেশের নিশান। কিন্তু সিরিজ জুড়েই বড় পিচ্ছিল ছিলো ফিল্ডারদের হাত। ক্যাচ পরেছে হরদম। মিস ফিল্ডগুলোও কপালে ভাঁজ বাঁড়িয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের। তবে, সিরিজ জেতার আনন্দের দিনে, কারো দিকে আঙুল তুলতে রাজি হলেন না তামিম। বরং, স্বপ্ন দেখালেন পরিবর্তনের।
তামিম বলেন, ‘খেলোয়াড়রা ক্যাচ ছাড়বে এটা স্বাভাবিক। তবে এটা যতটা কম হবে ততটা ভাল দলের জন্য। একটা বড় ম্যাচে একজনের ক্যাচ ছাড়ার ফলে সে একশও করে ফেলতে পারে। তবে অধিনায়ক হিসেবে আমি আমার দলের কারো উপর আঙ্গুল তুলছিনা। বরং আমি বলব, আমাদের আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে সামনের দিনগুলোর জন্য।’
আপাতত ৬ মাস টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে বিরতিতে থাকায়, আফগানদের বিপক্ষে খেলছেন না ওয়ানডে অধিনায়ক।