এই প্রথম ব্ল্যাক হোলের হার্টবিট রেকর্ড

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি স্পেশাল

মার্চ ২৬, ২০২২ ১১:০২ পূর্বাহ্ণ

ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষণা নতুন কিছু নয়। আইনস্টাইন থেকে শুরু করে বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা ব্ল্যাক হোল নিয়ে দিনের পর দিন গবেষণা করেছেন। এখনো চলছে নানা গবেষণা।

টাইমস অব ইন্ডিয়া ও বিবিসির খবরে বলা হয়, ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর মহাকাশের এমন একটি বিশেষ স্থান যেখান থেকে কোনো কিছু, এমনকি আলো পর্যন্ত বের হয়ে আসতে পারে না। এটা তৈরি হয় খুবই বেশি পরিমাণ ঘনত্ব বিশিষ্ট ভর থেকে। কোনো অল্প স্থানে খুব বেশি পরিমাণ ভর একত্র হলে সেটি আর স্বাভাবিক অবস্থায় থাকতে পারে না।

ব্ল্যাক হোলের এ হার্টবিট বা তার থেকে নির্গত আলোর ওঠানামা প্রায় ১৫ বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করে আসছিলেন বিজ্ঞানীরা। এমনকি কয়েক বছর আগে ব্ল্যাক হোলের ছবি প্রকাশ করে এর অস্তিত্বের প্রমাণও দিয়েছিলেন তারা। এবার প্রথম হার্টবিট বা হৃদস্পন্দন রেকর্ড করে ছবি তুললেন বিজ্ঞানীরা। আর সেই ছবিই প্লাজমা জেটগুলোর একটি বড় রহস্যের সমাধান করেছে বলে দাবি গবেষকদের।

বিজ্ঞানীদের মতে, ব্ল্যাক হোলের বাইরের পৃষ্ঠে একটি কাঠামো রয়েছে, যাকে বলা হয় করোনা ফর্মস। সেখানেই প্লাজমার শক্তিশালী জেটগুলোর উৎক্ষেপণ হয় বলে বিজ্ঞানীদের দাবি। এ প্রক্রিয়ায় করোনা ফর্মস থেকে উপাদানকে শূন্যে আলোর কাছাকাছি গতিতে ইন্টারস্টেলার স্পেস বা আন্তঃনাক্ষত্রিক স্থানে ঠেলে দেয়। প্রক্রিয়াটিকেই বলা হচ্ছে কৃষ্ণগহ্বরের হৃদস্পন্দন বা ব্ল্যাক হোলের হার্টবিট। কৃষ্ণগহ্বর কীভাবে কাজ করে, সেই সংক্রান্ত সব দ্বন্দ্বের সমাধান করে দিচ্ছে এ প্রক্রিয়া- এমনটাই দাবি গবেষকদের।

যদিও আগে বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল, করোনা ফর্মস ও জেট একই জিনিস। কিন্তু পরবর্তীতে এগুলো একের পর এক উত্থিত হয়। গবেষণার কাজে যে ব্ল্যাক হোলটিকে কাজে লাগানো হয়েছিল, সূর্য থেকে প্রায় ৩৬ হাজার আলোকবর্ষ দূরে এর অবস্থান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *