সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪ ১০:১০ পূর্বাহ্ণ
পেটে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়েছিল ১৫ বছরের কিশোর। ইউটিউব ভিডিও দেখে কিশোরের পিত্তথলি অস্ত্রোপচারও করেন চিকিৎসক ও তার সঙ্গীরা। এরপরেই মৃত্যু হয়েছে কিশোরের। এ ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভারতের বিহার রাজ্যে।
জানা গেছে, নিহত কিশোরের নাম কৃষ্ণ কুমার। বিহারের সরনের বাসিন্দা সে।
সংবাদমাধ্যমকে কৃষ্ণের পরিবার জানিয়েছে, কয়েক দিন ধরেই বমি হচ্ছিল তার। সঙ্গে পেটে অসহ্য যন্ত্রণা। তড়িঘড়ি তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। প্রাথমিক পরীক্ষার পর সেখানকার এক চিকিৎসক তাদের জানান, অবিলম্বে পিত্তথলি অপারেশন করতে হবে। এরপর পরিবারের সম্মতি ছাড়াই ইউটিউব ভিডিও দেখে অপারেশন সেরে ফেলেন চিকিৎসক ও তার সঙ্গীরা। আর এতেই একপর্যায়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ওই কিশোর।
এই ঘটনায় থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। একইসঙ্গে ভুয়া ওই ডাক্তারসহ অন্যদের খোঁজও করছে পুলিশ।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউটিউব ভিডিও দেখে পিত্তথলি থেকে পাথর অপসারণের অপারেশন করার পর বিহারের সরনে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এনডিটিভি বলছে, অস্ত্রোপচারের পর কিশোরের অবস্থার অবনতি হলে ‘ডাক্তার’ তাকে রাজ্যের রাজধানী পাটনার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেন। পথিমধ্যে ছেলেটি মারা যায় এবং ‘ডাক্তার’ ও তার সাথে থাকা অন্যরা মরদেহ হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় বলে কিশোরের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
মৃত ওই কিশোশের দাদা জানান, বমি বন্ধ হওয়ার পর ছেলেটি ভালো বোধ করছিল। কৃষ্ণ কুমারের দাদা প্রহ্লাদ প্রসাদ শ জানান, ‘কিন্তু ডাক্তার তার বাবাকে ভুল বোঝান এবং পরিবারের সম্মতি ছাড়াই ছেলেটির অপারেশন শুরু করেন। ছেলেটি যন্ত্রণায় ভুগছিল। যখন আমরা ডাক্তারকে তার ব্যথার কারণ জিজ্ঞেস করি, তখন তিনি আমাদের দিকে তেড়ে এসে জিজ্ঞেস করলেন— আমরা ডাক্তার কিনা। পরে সন্ধ্যায়, ছেলেটির শ্বাস বন্ধ হয়ে যায় এবং তারপরে সে পাটনায় মারা যায় এবং ছেলেটির মরদেহ হাসপাতালের সিঁড়িতে রেখে তারা পালিয়ে যান।’
ডাক্তারের যোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত না হলে কেন তাকে অজিত কুমার পুরীর কাছে নিয়ে গেলেন জানতে চাইলে পরিবারের সদস্যরা বলেন, ‘আমরা শুধু চেয়েছিলাম বমি বন্ধ হোক। সে আমাদের সম্মতি ছাড়াই অপারেশন করেছে।’
পুলিশ এই ঘটনায় একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে এবং মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। গণপতি সেবা সদনের স্বঘোষিত চিকিৎসক ও অন্যান্য কর্মীদের খোঁজ নেয়ার চেষ্টা চলছে।