ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় চারটি শর্ত দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সোমবার রাতে তিনি এসব প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মতে, ‘যদি রাশিয়ার বৈধ নিরাপত্তা–সংশ্লিষ্ট স্বার্থগুলো কোনো শর্ত ছাড়াই মেনে নেয়া হয়, তাহলেই ইউক্রেন নিয়ে সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব।’
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রোর সঙ্গে সোমবার এক টেলিফোন আলাপের পর এক বিবৃতিতে ক্রেমলিন এ তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, পুতিন ফরাসি প্রেসিডেন্টকে বলেছেন, ক্রিমিয়ার ওপর রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব মেনে নিতে হবে, ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ করতে হবে, নাৎসিমুক্তকরণের সমাধান হতে হবে এবং ইউক্রেন যেন একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র থাকে তার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
অন্যদিকে, ফরাসি প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ফোন করে ইউক্রেনে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করতে বলেছেন।
ফরাসি বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সংঘাত যাতে আয়ত্তের বাইরে না চলে যায় তার জন্য প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো রুশ প্রেসিডেন্টকে যোগাযোগ অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেছেন। এসময় ইমানুয়েল ম্যাঁক্রোর অনুরোধ রাখতে তার সদিচ্ছা প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।
এদিকে বেলারুশ সীমান্তে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে প্রথম পর্বের আলোচনা কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। রাশিয়া বলেছে, এতে উভয় পক্ষ আলোচনা অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছে। আবার দু’এক দিনের মধ্যে তারা আলোচনায় বসবে।
সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টার একটু আগে উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা বেলারুশে আলোচনায় বসেন। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা ধরে ওই আলোচনা চলে। আলোচনা শেষে উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা পরামর্শের জন্য নিজ নিজ রাজধানীতে রওনা হয়েছেন।
বৈঠকের আগে এক ভিডিও ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ান সেনাদের অস্ত্র জমা দেওয়া এবং তার দেশকে অবিলম্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য করে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সূত্র : পার্সটুডে