দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে বাংলাদেশকে আন্ডারডগ বলে অভিহিত করেছেন টাইগারদের হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো। দক্ষিণ আফ্রিকায় এখন পর্যন্ত ছয়টি টেস্ট, নয়টি ওয়ানডে এবং চারটি টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এখনো প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তাদের ঘরের মাঠে জয়ের দেখা পায়নি তামিমরা। কিন্তু আসন্ন সিরিজের জয়ের খরা ভাঙতে আশাবাদী রাসেল ডমিঙ্গো।
“আমরা অবশ্যই এখানে আন্ডারডগ হিসেবে এসেছি। কারণ এখানে আমরা কোনো ম্যাচই জিততে পারিনি, সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন ডমিঙ্গো। “দক্ষিণ আফ্রিকা সম্প্রতি উপমহাদেশের অন্যতম শক্তিশালী দল ভারতকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে। তারা অবশ্যই ফেভারিট হিসেবে মাঠে নামবে। তারা নিজেদের কন্ডিশনে খেলবে যেখানে তাদের হারানো কঠিন।”
“তারা ফেভারিট হিসেবে শুরু করবে, কিন্তু আন্ডারডগ হিসেবে আসা আমাদের জন্য উপযুক্ত। এটি আমাদের বিশেষ কিছু করার একটি দুর্দান্ত সুযোগ দেয়। আমরা এমন কিছু করতে চাই যা আগে কোনো বাংলাদেশ দল এখানে করেনি। আমি আমাদের ওয়ানডে দল নিয়ে খুবই আশাবাদী। আমরা ভারসাম্যপূর্ণ দল আছে। আমাদের ব্যাটিং গভীরতা অনেক। টপ অর্ডারে আমাদের কিছু অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে এবং কিছু রোমাঞ্চকর ফাস্ট বোলার আছে। আমাদের ৫০ ওভারের ভারসাম্যপূর্ণ দল রয়েছে যা আমাদের যেকোনো সিরিজে অনেক আত্মবিশ্বাস দেয়।”
সাকিব আল হাসানের অর্ন্তভুক্তিতে দলে ইতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো।
তিনি বলেন, “সাকিব আমাদের দলের ভারসাম্য বজায় রাখে। তার না থাকাটা সব সময়ই দলের জন্য কঠিন হয়। আপনার একজন অতিরিক্ত বোলার বা অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান লাগবে কি-না- আপনি নিশ্চিত নন। তার মত দক্ষতা সম্পন্ন একজন ক্রিকেটার থাকাটা সব সময়ই দারুন।”
ডোমিঙ্গোর মতে, একজন প্রকৃত অলরাউন্ডার হিসেবে সাকিব সবসময় দলে একজন অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান এবং বোলারের হিসেবে অর্ন্তভুক্ত হয়।
টাইগারদের হেড কোচ বলেন, “সাকিব অভিজ্ঞ। এর আগেও এখানে এসেছেন তিনি। বিশ্বমানের খেলোয়াড় সে। সে সফরে থাকায় আমরা খুবই খুশি। তার শক্তি, মনোভাব এবং কাজের নৈতিকতা দুর্দান্ত ছিল।”
বাংলাদেশের ফিল্ডিং নিয়ে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেন ডোমিঙ্গো। কারণ আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে বাংলাদেশের ফিল্ডাররা বেশ কয়েকটি ক্যাচ ড্রপ করে। তিনি জানান, শেষ পাঁচ ম্যাচে বাংলাদেশ নয়টি ক্যাচ ফেলেছে।