অলৌকিক কুপ ‘জমজম’ সৃষ্টির উদ্দেশ্য

অলৌকিক কুপ ‘জমজম’ সৃষ্টির উদ্দেশ্য

ফিচার স্পেশাল

এপ্রিল ১৯, ২০২৩ ৯:২৮ পূর্বাহ্ণ

জমজম কুপ বা কুয়া (আরবি: زمزم‎‎)। এটি মক্কায় মসজিদুল হারামের অভ্যন্তরে অবস্থিত। আরবি ভাষায় জমজম শব্দের অর্থ হলো অঢেল পানি। মহান স্রষ্টার অন্যতম নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জমজম কূপ।

জমজম কুপ কাবা থেকে ২০ মি. (৬৬ ফুট) দূরে অবস্থিত। ইসলামি বর্ণনা অনুযায়ী, নবী হজরত ইব্রাহিম (আ.) তার স্ত্রী হাজেরা (আ.) ও শিশুপুত্র ইসমাইল (আ.)-কে মরুভূমিতে রেখে আসার পর হজরত জিবরাঈল (আ.) এর পায়ের আঘাতে এর সৃষ্টি হয়।

জমজম কুপ সৃষ্টির উদ্দেশ্য ও কিছু তথ্য হাদিসের আলোকে তুলে ধরা হলো-

‘মূলতঃ জমজম হলো আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহে সৃষ্ট এক অলৌকিক কুপ। যা (এ কুপের পানির বরকতেই ফলমূল, জন-মানবহীন স্থানে) শিশু ইসমাইল ও তার মা হাজেরা জীবন রক্ষায় (মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে এক মহা অনুসঙ্গ) এবং পরবর্তীতে মক্কার আবাদ ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমনের স্থান হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যেই সৃষ্টি হয়েছে।’ (বুখারি ও মুসলিম)

দুনিয়ার বুকে জমজমের পানি অনেক বরকতময়। যে পানি পান করে দুনিয়ার অসংখ্য মানুষ লাভ করে শান্তি, শারীরিক সক্ষমতা ও বরকত।

আসুন জেনে নিই পবিত্র এই জমজম কূপ সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য-

(১) আল্লাহ তাআলার অসীম কুদরতে ৪০০০ বছরপূর্বে সৃষ্টি হয়েছিল।

(২) ভারী মোটরেরসাহায্যে প্রতি সেকেন্ডে ৮০০০ লিটার পানি উত্তোলন করার পরও পানি ঠিক সৃষ্টির সূচনাকালেরন্যায়।

(৩) পানির স্বাদ পরিবর্তন হয়নি, জন্মায়নি কোনো ছত্রাক বা শৈবাল।

(৪) সারাদিন পানি উত্তোলন শেষে, মাত্র ১১ মিনিটেই আবার পূর্ণ হয়ে যায় কূপটি।

(৫) এই কূপের পানি কখনো শুকায়নি, সৃষ্টির পর থেকে একইরকম আছে এর পানি প্রবাহ, এমনকি হজ মওসুমে ব্যবহার কয়েকগুন বেড়ে যাওয়া সত্বেও এই পানির স্তর কখনো নিচে নামে না।

(৬) সৃষ্টির পর থেকে এর গুনাগুন, স্বাদ ও বিভিন্ন উপাদান একই পরিমানে আছে।

(৮) এই কূপের পানির মধ্যে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সল্ট এর পরিমান অন্যান্য পানির থেকে বেশি, এজন্য এইপানি শুধু পিপাসা মেটায় তা না, এইপানি ক্ষুধাও নিবারণ করে।

(৯) এই পানিতে ফ্লুরাইডের পরিমান বেশি থাকার কারণে এতে কোনো জীবানু জন্মায় না ।

(১০) এই পানি পান করলে সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।

জমজম পানির খনিজ উপাদান:

জমজম কূপের পানির কোনো রং বা গন্ধ নেই, তবে এর বিশেষ একটি স্বাদ রয়েছে। বাদশাহ সৌদ বিশ্ববিদ্যালয় জমজম কূপের পানি পরীক্ষা করেছে এবং তারা এর পুষ্টি গুণ ও উপাদান সমূহ নির্ণয় করেছে।

জমজম পানির উপাদানসমূহ-

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জমজমের পানি পানের মাধ্যমে হাদিসে ঘোষিত বরকত লাভের তাওফিক দান করুন। শারীরিক সব অসুস্থতা থেকে সুস্থতা দান করুন। আমিন।

সূত্র: উইকিপিডিয়া

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *